বিআরটিএ চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রো সার্কেলের উপরস্থ অফিসারদের নাম ভাঙ্গিয়ে অসাধু কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী লক্ষ লক্ষ টাকার অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের অনিয়ম দুর্নীতির কারণে বিআরটিএ চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রো কার্যালয়ের সিনিয়র অফিসাররা বিভ্রত বলেও সূত্রে জানায়।
এমন কি চক্রটি নিজস্ব একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে দালালদর দিয়ে সিন্ডিকেটটি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দেশের নামি দামি কোম্পানি, মোটর ও কারের শো রুমের মালিকদের সাথে গোপন চুক্তিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিআরটিএ চট্টগ্রাম জেলার মেকানিক্যাল সহকারী মোশারফ হোসেন ও মোটরযান পরিদর্শক ইকবাল আহমেদ নেতৃত্বে গড়ে তোলেছে বিশাল এক সিন্ডিকেট।
টাকার বিনিময়ে তারা এমন কাজ নেই করছে না। চক্রটি নামি দামি কোম্পানির পক্ষ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিআরটিএ চট্টগ্রামে কাজ করে আসছে। এই দুই কর্মকর্তা অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তোলেছে বিশাল সম্পদের পাহাড়। সিন্ডিকেটটির বাইরে গিয়ে কেউ কাজ করতে চাইলে পদে পদে হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে চোরাই গাড়ির দ্রুত মালিকানা পরিবর্তনের মত কাজও তারা করে আসছে। চোরাই গাড়ি চোর সিন্ডিকেটের সাথেও রয়েছে চক্রটির সখ্যতা। টাকার বিনিময়ে চুক্তিতে গাড়ী না দেখে মালিকানা পরিবর্তন, মোটরসাইকেল পরিদর্শন না করে রেজিসটেশন, গাড়ী না দেখে ফিটনেস দেয়াসহ নানা এমন কোন কাজ নেই তারা করে না। চট্টগ্রামে ইয়ামাহা মোটর শো রুমের তাপস, কেডিএম মোটরর্স এর ফরিদ, মোটর কোম্পানির শো রুমের দালাল সিন্ডিকেটের শাহ আলমসহ বিশাল এক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যাবতীয় বিআরটিএর সব কাজ চুক্তিতে নিয়ে অবৈধভাবে করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
বিআরটিএর সিনিয়র অফিসারদের অজান্তে গোপনে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ছে চক্রটি। বিআরটিএর অসাধু কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিজেরা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অবৈধভাবে কাজ করার কারণে সরকারের কোটি কোটির রাজস্ব ক্ষতি করছে তেমন সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা ভুয়া লাইসেন্সসহ জাল জালিয়তি করে কাজ পত্র দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। চক্রটির কারণে বিআরটিএর সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি অফিস স্টাফরা জানান।
বিআরটিএ অফিসে মোশরফ হোসেনের প্রসঙ্গে গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য টিপু সুলতান নামের এক ব্যক্তি বলেন, তার কাছে একটা গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য গেলে সে বলে গাড়ির কাগজ পত্র দেখে না না দেখে, না চোরাই গাড়ি যে গাড়ি হউক না কেন চুক্তিতে আসেন টাকা দিয়ে যান আপনার কাজ হয়ে গেছে। এখনো ফেরেস্তা হতে বসেনি কাজ নিয়ে আসেন আপনারটা আপনি রেখে আমারটা আমাকে দিয়ে দিবেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য বিআরটিএ মেকানিক্যাল সহকারী মোশারফ হোসেন গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন করতে যে কাজ করতে হয় কাজগুলো সে করে থাকেন বলে স্বীকার করেন, তবে সাংবাদিক পরিচয় জানার পর মোবাইলে তার অফিসে যে সব কাজ বিভিন্ন মাধ্যমে তার হাতে আসে সেগুলো করে থাকেন বলে জানান। অফিসে কাজের চাপ বেশি হওয়ায় বাইরে গিয়ে দেখার সুযোগ হয় না।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জি.) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে মোবাইলে পাওয়া যায়নি।