নতুন আতঙ্কের নাম ডেভিলস ব্রেথ বা শয়তানের নিঃশ্বাস, যা একধরনের ভয়ংকর মাদক। নারীরাই মূল টার্গেট। তবে ওই নারীর গায়ে থাকতে হবে গহনা। কোনোরকম ভয়ভীতি ছাড়াই টার্গেট নারী নিজেই সেই গহনা খুলে দেন প্রতারকের হাতে।
সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, টার্গেট ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলা হয় সাহায্যের কথা বলে।
এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান রাসায়নিক কর্মকর্তা দুলাল কৃষ্ণ সাহা সময় সংবাদকে বলেন, নতুন এ আতঙ্কের নাম ডেভিলস ব্রেথ বা শয়তানের নিশ্বাস, যা একধরনের ভয়ংকর হেলুসিনেটিক ড্রাগ।
চলতি পথে হরহামেশাই বিপদে পড়ছেন নারীরা। অপরিচিত ব্যক্তি অনেকটা উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো কেড়ে নিচ্ছে সর্বস্ব। বিশেষ করে গায়ে থাকা স্বর্ণালংকার। তবে কোনো ধরনের ভয়ভীতি না দেখিয়ে। টার্গেট নারীর কাছে কখনো সাহায্য চেয়ে, কখনো তাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ফাঁদ। এ ধরনের চক্রের ফাঁদে পড়ে রাজধানীতে অনেক নারীই হারিয়েছেন তাদের মূল্যবান গহনা।
রাজধানীর খিলগাঁও, মতিঝিল এবং রামপুরাকেন্দ্রিক এরকম একটি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ চক্রটিও টার্গেট করে নারীদের। প্রথমে চক্রের দুজন নারী সদস্য টর্গেট নারীর সঙ্গে গল্পজুড়ে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে চক্রের এক পুরুষ সদস্যের আবির্ভাব ঘটে। বলা হয় কোনো একজন দানশীল ব্যক্তি আর্থিক সহায়তা করছেন, চাইলে তারাও সাহায্য নিতে পারেন।
মতিঝিল বিভাগের ডিবির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শাহ. আলম মোহাম্মদ আখতারুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, নারীরাই মূল টার্গেট। ভুক্তভোগীর নারীর বিশ্বাস অর্জন করার পর তারা লুটে নেন মূল্যবান গহনা।
তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান রাসায়নিক কর্মকর্তা দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, স্কোপোলামিন নামে একধরনের মাদক দিয়ে বশ করা হয় টার্গেট ব্যক্তিকে। এটি হেলুসিনেটিক ড্রাগ। ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি কাছাকাছি গেলেই নিশ্বাসে ওটি টেনে নিয়ে যাবে। আর সেটি যার শরীরে প্রবেশ করানো হয় ১২ মিনিটের মধ্যে অ্যাকশন শুরু হয়ে যাবে তার। রিমোট কন্ট্রাল দিয়ে যেমন টেলিভিশন স্ক্রিন নিয়ন্ত্রণ করা যায়; তেমনি আপনি যা বলবেন যার নাকে শুকানো হয়েছে তিনি তাই করবেন। মূলত ওই ব্যক্তি তখন তাদের কথামতো চলবে।
পৃথিবীর অনেকে দেশের মতো সম্প্রতি বাংলাদেশেও এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।