৪৭ বছরের সীমানাজট কাটিয়ে বঙ্গপোসাগরে প্রতিষ্ঠা করেছে সার্বভৌমত্ব। ছিটমহলের দুর্ভেদ্য দেয়াল ভেঙ্গে মুক্ত করে এনেছে নিজদেশের পরবাসী মানুষদের। আর, ১৫ লাখ বিপন্ন মানুষের (রোহিঙ্গা) পাশে দাঁড়িয়ে রচনা করেছে বিশ্ব মানবতার বিরল ইতিহাস।
এভারেস্টের চূড়া থেকে ইমার্জিং ইলেভেন, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার থেকে শান্তিতে নোবেল। সবখানেই উঠেছে বাংলার নাম। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে অংশগ্রহনকারী ১১৫টি দেশের মধ্যেও থাকে সবাগ্রে। লালসবুজের কথিত তলাবিহীন ঝুঁড়ি গুড়িয়েছে তো বটেই, বেরিয়ে এসেছে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে। নিজস্ব অর্থে পদ্মাসেতু নির্মাণ করে দেখিয়ে দিয়েছে স্বনির্ভরতার পরিচয়। এছাড়া, নিয়েছে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর ও বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো দুঃসাহিক প্রকল্প।
বিশ্বজুড়ে তৈরী পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় নামটা বাংলাদেশেরই। আর প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে আছে অষ্টম স্থানে। খাদ্যেও আছে স্বয়ংসম্পূর্ণতা। ধান উৎপাদনে তৃতীয় আর মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে তৃতীয়। জীবন রক্ষাকারি ওষুধ তৈরীতেও হয়েছে বিপ্লব, দেশের মোট চাহিদার ৯৮ ভাগই মিটছে নিজস্ব উৎপাদনে।
দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৪টি ডলার। গড় আয়ু ৭২ বছর। আর, এখন ৯৭ ভাগ শিশুই ভর্তি হয় স্কুলে।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশে অন্যতম অর্জন ডিজিটাল বাংলাদেশ। তাইতো তথ্যপ্রযুক্তিখাতে রপ্তানী ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার।
তবে, শত অর্জন ছাপিয়ে বাংলার শির উঁচু করে রাখে বায়ান্নর গৌরবমাখা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি। আর লালসবুজের জমিনে স্বাধীনতার উল্লাস।
২৪ টিভি/এডি