দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশ এক সিএনজি অটোরিকশাকে ধাওয়া দেয়, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে উল্টা পথে চলতে গিয়ে ট্রাকের সাথে সিএনজি অটোরিকশার ধাক্কা লাগলে সাথে সাথে গ্যাস বিস্ফোরণ হয়।
এতে সিএনজির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অটোরিকশা জ্বলে পুড়ে আঙ্গঁর হয়ে যায় চালক মো. আবদুল সবুর (৩৫)। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মাজার পয়েন্ট ব্রিজের দক্ষিণ পাশে অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন লেগে ২ সন্তানের জনক মো. আবদুর সবুর জীবন শরীর আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলে পুড়ে আঙ্গঁর হয়ে যায়।
গতকাল ২৫ মার্চ বিকাল সাড়ে ৩ ঘটিকার সময় সাতকানিয়া অভিমূখী সিএসজি চালিত অটোরিকশা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মাজার পয়েন্ট ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানায় দোহাজারী হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ খান মোহাম্মদ ইরফান পুলিশের সিএনজি অটোরিকশাকে ধাওয়া দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
হাইওয়ে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তাৎক্ষনিক উল্টো পথে ফিরে যেতে গিয়ে পিছন দিক থেকে আসা বালু ভর্তি ট্রাকের (চট্ট মেট্টো-শ ১১-৩৪৪১) ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশায় থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লেগে যায়। এসময় অটোরিকশায় থাকা এক মহিলা যাত্রী ছিটকে পড়ে বেচেঁ গেলেও চালক আগুনে পুড়ে মারা যায়। স্থানীয়রা ট্রাকটিকে আটক করে চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে।
প্রত্যেক্ষদর্শীদের মতে জানায় প্রতিদিনের ন্যায় দোহাজারীর টিআই সবুজ পুলিশ বক্সে সদস্যরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে গাড়ী আটকিয়ে চাঁদাবাজি পরিবহন শ্রমিকদের হয়রানি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রতি মাসে মহাসড়কে টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে হাজার হাজার সিএনজি টেক্সী মহাসড়কে চলাচল করে আসছে। যারা মাসোহারা না দিয়ে সড়কে গাড়ি চালায় তাদের ধরে মামলা দিয়ে হয়রানি করে হাইওয়ে পুলিশ।
এমসয় সিএনজি চালক মো. আবদুর সবুর পুলিশের কাছে হেনস্তা হওয়ার ,গাড়ীটি উল্টো পথে গুরিয়ে নিতে চাইলে একই দিক থেকে আসা ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে এই ঘটনা ঘটে। এইসময় সড়কে গাছের গুরি ফেলে ঘন্টা ব্যাপি সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুদ্ধ জনতা। সড়কের ২ পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে যায়। পরে পুলিশ এসে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন আনোয়ারা সার্কলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোহানুর রহমান সোহাগ। এইদিকে চন্দনাইশ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম ঘনটাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃত চালক আবদুর সবুরের স্ত্রী রুবি আকতারের হাতে নগদ ২৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন।
এই ব্যাপারে চন্দনাইশ থানা অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুল ইসলাম বলেন সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি ভয়ে উল্টোপথে যাওয়ার সময় বালুভর্তি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে সিলিন্ডার বিস্ফোরিতটি হয়ে অটোরিকশাটি চালকসহ পুড়ে যায়।
চালক মো. আবদুর সবুর সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা ইউপি ইসামতি গ্রামের মৃত মফিফুর রহমানের ছেলে বলে জানা যায়। এই মমার্ন্তিক মৃত্যুতে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।