রাজশাহী, নওগাঁ, পঞ্চগড়সহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় জেঁকে বসেছে শীত। হিম হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির ফোটার মতো ঝরছে কুয়াশা। হাড় কাঁপানো শীত গ্রাস করেছে উত্তরের জনপদ। খড়কুটো জ্বালিয়েও ঠান্ডা কমানো যাচ্ছে না।
গরম কাপড়ের অভাবে বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ডাক্তার ও নার্সদের।
সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সে সঙ্গে দেশের নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ৫০০ মিটার বা কোথাও কোথাও আরও কম হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
আবাহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, সোমবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ ছাড়া পরবর্তী ৫ দিন রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে।
আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ বিহার ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রোববার (১ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এদিন দেশের সর্বোচ্চ ২৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কক্সবাজারের টেকনাফে।
ঢাকায় সোমবার সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ২৩ মিনিটে।