স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নথি চুরির ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করার পর তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই এ ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা।
“কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে এবং সে অনুযায়ী অ্যাকশন চলমান আছে। তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন প্রসিডিংস চলছে, তা চলবে। ফাইনালি যে জাজমেন্ট হবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এই চার কর্মচারী হলেন- ক্রয় ও সংগ্রহ-২ শাখার সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকা ও জোসেফ সরদার, প্রশাসন-২ শাখার (গ্রহণ ও বিতরণ ইউনিট) অফিস সহায়ক বাদল চন্দ্র গোস্বামী এবং প্রশাসন-৩ শাখার অফিস সহায়ক মিন্টু মিয়া।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭ নথিসহ একটি ফাইল হারিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে গত ২৮ অক্টোবর শাহবাগ থানায় জিডি করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার।
সেখানে বলা হয়, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ক্রয় সংক্রান্ত শাখা-২ এর কম্পিউটার অপারেটর জোসেফ সরদার ও আয়েশা ২৭ অক্টোবর বুধবার কাজ শেষ করে ফাইলটি একটি কেবিনেটে রেখে গিয়েছিলেন। ওই ফাইলের ভেতরে ১৭টি নথি ছিল। পরদিন অফিসে গিয়ে কেবিনেটে ওই ফাইলটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ফাইল চুরির তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয় কর্মচারী ও এক ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় সিআইডি। পরে ওই নয় কর্মচারী ও ঠিকাদার নাসিমুল গনি টোটনকে ৫ নভেম্বর ছেড়ে দেওয়া হয়। টোটনকে রাজশাহী থেকে ধরে আনা হয়েছিল।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান সেদিন বলেছিলেন, তদন্তে ‘বলার মতো কিছু’ তারা পাননি।