ঈদকে সামনে রেখে নতুন নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্ণফুলী উপজেলার দর্জি কারিগররা। গ্রাহকের রুচি আর পছন্দের সাথে তাল মেলাতে ব্যস্ত পোষাক কারিগররা। সময় আর আধুনিকতা এসবের সাথে তাল মিলিয়েই নিত্য নতুন পোশাক তৈরিতেই এখন তাদের মনোযোগ। কখনও সালোয়ার কামিজ বা কখনো পাঞ্জাবি তৈরিতে মেশিনে অবিরত চলছে খরখর শব্দ। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই, প্রতিদিনই জমছে নতুন নতুন পোশাকের সারিও।
সরেজমিনে বৃহঃবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারের দর্জি দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ছোটবড় প্রতিটি দোকানেই সেলাই কাজের প্রচুর অর্ডার পাচ্ছেন কারিগররা। প্রত্যেক কারিগর দিনে তৈরি করছে প্রকার ভেদে ৭ থেকে ৮টি অর্ডার করা পোশাক।
দর্জির কারিগরররা জানান, সামনে ঈদ তাই রুজি-রোজগারের একমাত্র সম্বলটি যেন এক মুহুর্তের জন্যও বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। নতুন করে অর্ডার এখনও চলছে বলে জানা গেছে। চাহিদা মতো নতুন পোশাক পেয়ে খুশি ক্রেতারাও। পছন্দ মতো পোশাক বানাতে ক্রেতারা ছুটে যাচ্ছেন টেইলার্সগুলোতে।
টেইলার্স মালিকরা বলছেন, পছন্দের পোশাকের জন্য রেডিমেড থ্রি-পিস ও থানকাপড় কিনে ক্রেতারা পাড়ি জমাচ্ছেন দর্জি দোকান গুলোতে। ক্রেতাদের পছন্দ মতো পোশাক বানাতে দিনরাত দোকান খোলা রেখে কাজ করছেন দর্জিরাও। আবার কোনও কোনও টেইলার্স কাজের চাপ সামলাতে মৌসুমী কারিগর এনেছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে।
ঢাকা টেইলার্সের মো.জিয়া বলেন, ইতিমধ্যে আমরা তৈরি পোশাকের অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি হাতে অনেক কাজ রয়েছে সেগুলো তৈরি করে কাস্টমারের হাতে নিদিষ্ট সময়ে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
কারিগর মো. ফরিদ বলেন, এখন ব্যস্ততাটা বেশিই, আমাদের দম ফেলার সময় নেই। তবে এ ব্যস্ততা শুরু হয়েছে রমজান মাস শুরুর পর থেকেই। শুরুতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করতে হতো, আর এখন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে।
এদিকে এফ আর ফ্যাশন দর্জি মো. ফয়সাল জানান, রোজার শুরু থেকে অনেক অর্ডার নিয়েছি, আপাতত আর অর্ডার নিচ্ছি না, সময় মতো কাজ শেষ করে কাস্টমারকে দিতে পারলেই আমরা খুশি।
দর্জির দোকানে সেলাই করতে আসা রুবেল নামের একজন বলেন, পছন্দের পোশাক কিনে দর্জির দোকানে ফিটিংস করতে আসলাম, আর কিছু শার্ট আর পাঞ্জাবিও সেলাই করবো,