দিনেদুপুরে অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাইভেট কারে করে গরু লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতা আটক করে তিন গরু ডাকাতকে গণপিটুনি দিয়েছে। এদের মধ্যে মো. আরমান নামে একজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অন্যদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
আরমান চট্টগ্রামের আনোয়ারা পৌরসভা এলাকার মনসুর আহমদের ছেলে।
শনিবার(১ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বাজালিয়া ইউনিয়নের কেরানীহাট—বান্দরবান সড়কের কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ কলেজের অদূরে এ গণপিটুনির ঘটনা ঘটে।
পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় তিন ডাকাতকে ও গরুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পার্বত্য জেলা বান্দরবান সদর ইউনিয়ন রেইচা দুই নং ওয়ার্ড এলাকার ফারুকের একটি গরু বাড়ির পার্শ্ববর্তী সড়কে চরছিল।
এ ব্যাপারে গরুর মালিক মো.ফারুক বলেন, একটি প্রাইভেট কারের পেছনে করে (চট্টমেট্রো—গ—১১—০৯৫০) এলাকার লোকদেরকে অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার গরুটি লুট করে নিয়ে যাচ্ছিল। গরু নিয়ে যাওয়ার পথে বাজালিয়া ইউনিয়ন এলাকায় পৌঁছলে জনতা কার ও গরুসহ তিন ডাকাতকে আটক করে গণপিটুনি দেয়।
এদের মধ্যে অস্ত্র নিয়ে থাকা আরেক ডাকাত পালিয়ে যায়।
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটিরত চিকিৎসক ডা. আফরিন সুলতানা বলেন, মুমূর্ষু তিন জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এব্যাপারে সাতকানিয়া থানার ওসি ইয়াসির আরাফাত বলেন, খবর পেয়ে জনতার গণপিটুনির হাত থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আরমান নামে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। গরু ও প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বান্দরবান থানায় বাদী একটি মামলা দায়ের করবেন।