থানায় মামলা না নেওয়া পরর্বতীতে ১০ দিন পর এক নারীর পাল্টা মামলায় হয়রানি, দূর্নীতি অনিয়মে বিষয়ে আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঝিওরী গ্রামের বৃদ্ধ মোহাম্মদ ইদ্রিচ (৬৫) ওসি সোহেল আহাম্মদের বিরুদ্ধে আইজিপির ছেলে অভিযোগ দেন।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) অফিসে চট্টগ্রামের এডিশনাল পুলিশ সুপার অভিযোগকারি মোহাম্মদ ইদ্রিচের বক্তব্য গ্রহণ করেন।
তিনি গত ৮ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত আনোয়ার থানার ওসি সোহেল আহাম্মদ তাকে ঘিরে যে সব অনিয়ম দূর্নীতি করেছেন তার বিস্তারিত বিররণ তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য গত ৮ এপ্রিল বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বৃদ্ধ ইদ্রিস বাড়ির পাশে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া থামাতে যান। এ সময় হাসান শরীফ (৪০), আবু সৈয়দ (৫০), জামির হোসেন (২৫), আশরাফ উদ্দিন, আব্দুর নুর (৩৫) প্রথমে তাকে গালিগালাজ ও বেদম মারধর করে জখম করেন। এক পর্যায়ে রড দিয়ে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে। তার আর্তচিৎকারে পুত্র আশরাফুল ইসলাম মুন্না (২৪) এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে চোখে জখম করে। এর পর থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে তাকে কিছু দিন পরিবার নিয়ে আত্মগোপনে থাকার পরামর্শ দেন। পরদিন ৯ এপিল আদালতে গিয়ে মামলা করলে ওসি আনোয়ারা ক্ষিপ্ত হন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৮ এপ্রিল একজন নারীকে ৩৫৪ ধারা, ৩২৬ ধারায় মামলা দিয়ে হয়রানি করেন।
এরপর ভুক্তভোগী ইদ্রীস চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল আহমেদকে থানা থেকে প্রত্যাহার এবং তার বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইজিপি’স কমপ্লেইন সেলে আবেদন করেন। গত ৪ মে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স-এ আইজিপি’স কমপ্লেইন সেল, অতিরিক্ত ডিআইজি (ডিএন্ডপিএস-১) বরাবরে অভিযোগ দেন। ৫ পৃষ্ঠার অভিযোগ পত্রের অনুলিপি দেয়া হয় ডিআইজি চট্টগ্রাম, পুলিশ সুপার চট্টগ্রাম ও সহকারি পুলিশ সুপার আনোয়ারা সার্কেল বরাবরে ।
এই অভিযোগে ভিত্তিতে আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহম্মদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর রোববার ১৩ এপ্রিল থেকে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়।
এবিষয়ে আনোয়ারা সহকারী পুলিশ সুপার সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, বিষয়টি নিয়ে একজন এডিশনাল এসপি তদন্তে আসছেন। ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলছেন।