ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে (ইসি) কর্তৃক ৪র্থ ধাপের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ জুন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রার্থীদের প্রচার -প্রচারণায় সরগরম পুরো বাঁশখালী। এতে ভোটারদের ব্যাপক ছাড়া পাচ্ছে চেয়ারম্যান প্রার্থী খোরশেদ আলম।
এবার নির্বাচনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম (দোয়াত কলম), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহেদুল হক চৌধুরী মার্শাল (মোটরসাইকেল), ইমরানুল হক (আনারস), সাবেক পৌর মেয়র শেখ ফখরুদ্দিন চৌধুরী (ঘোড়া) প্রতীকসহ ৪ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যাচ্ছেন।
এরই মধ্যে উপজেলার পুকুরিয়া, সাধনপুর, কালীপুর, বৈলছড়ী, বাহারচড়া, খানখানাবাদ, কাথরিয়া, সরল, গণ্ডামারা, শীলকূপ, পৌরসভা, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুঁইছড়ির বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবারের উপজেলা নির্বাচনে বাঁশখালীতে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে খোরশেদ আলম। (দোয়াত কলম) প্রতীক সমর্থনে ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন তিনি। মাঠপর্যায়ে টানা ৫দিনের জরিপে উঠে আসে দোয়াত কলম মার্কার জয়জয়কার অবস্থার চিত্র।
কে সে খোরশেদ আলম? কেন আলোচনার শীর্ষে তিনি?
খোরশেদ আলম (খোরশেদ) বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বেলগাঁও এলাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান, তাঁর বাবার নাম মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল মাবুদ সওদাগর, মাতা -মেহেরুন্নেছা বেগম।
ছাত্রজীবন থেকেই খোরশেদ আলম বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় স্কুল, বিশ্ববিদ্যায় ও কলেজ ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। চট্টগ্রাম মহানগর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন খোরশেদ আলম।
এছাড়াও সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে খোরশেদ আলম সাধনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, পুকুরিয়া চাঁদপুর কিউ. এইচ.আর.ডি.ইউ. ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি, বাঁশখালী বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, আব্দুল মাবুদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ চেরাগী পাহাড়, চট্টগ্রাম এর উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপদ ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি রহমতগঞ্জ চট্টগ্রাম এর সভাপতি, চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপদ ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।এছাড়াও কে. এস. এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ও প্রথম শ্রেণির একজন ঠিকাদার খোরশেদ আলম।
বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ প্রবীণ ও তরুণ নেতা-কর্মীরা খোরশেদ আলমের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে (দোয়াত কলম) প্রতীকের সমর্থনে প্রচার- প্রচারণা চালিয়ে যেতে দেখা গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও দোয়াত কলম মার্কার সমর্থনে গণসংযোগ, পথসভা ও মিছিল -মিটিংয়ে অংশ গ্রহণ করতে দেখা যায়।
টানা ৪র্থ বারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যাচ্ছেন তিনি।
বিগত ২০০৯ সালে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে, ২০১৪ সালে বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে, ২০১৯ সালে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পূনরায় স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি।
এবার (দোয়াত কলম) প্রতীক নিয়ে টানা ৪র্থ বারের মতো চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ভোটারদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। এতে উৎসবমুখর পরিবেশে সমর্থকদের নিয়ে নিরলস ভাবে প্রচার -প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন খোরশেদ আলম।
খোরশেদ আলম বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, এবার পুরো বাঁশখালীতে দোয়াত কলম মার্কার রব উঠেছে, আমি যেখানে যাচ্ছি সেখানেই ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি, এই নির্বাচনে আমি ছাড়াও চেয়ারম্যান পদে আরও ৩ জন প্রার্থী রয়েছে, তাঁরাও যার যার মতো করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এবারের নির্বাচনে যে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এবং এতে দোয়াত কলম মার্কার যে রব উঠেছে সেটি আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা অবশ্যই উপলব্ধি করতে পারছেন। আল্লাহর রহমতে ও সকলের দোয়ার বরকতে "দোয়াত কলম" মার্কার যে গণজোয়ার উঠেছে এতে আমার বিজয় সুনিশ্চিত বলে আমি শতভাগ আশাবাদী। আগামী ৫ জুন বাঁশখালীর জনগণ শতঃস্ফূর্ত ভাবে দোয়াত কলম মার্কায় ভোট দিয়ে আমার বিজয় সুনিশ্চিত করবে ইনশাআল্লাহ।