চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জলকদর খালের বেড়িবাঁধ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়াগা থেকে দেদারসে মাটি কেটে লাখ লাখ টাকা অবৈধ উপার্জন করছে মাটি খেকো সিন্ডিকেট, এতে দেখার কেউ নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
১২ মে (রবিবার) বিকেলে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুস সোবহানের বাড়ী এলাকায় বাংলা বাজার হয়ে যাওয়া জলকদর খালের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন সরকারি জায়গা থেকে স্ক্যাবেটর গাড়ী দিয়ে মাটি কেটে ৭/৮ ডেম্পার (ট্রাকে) করে মাটি নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। রাতদিন এভাবে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার কবির বাপের বাড়ির আবুল কালাম সিকদারের ছেলে মোঃ মুছা খান, একই এলাকার বাহদুর সিকদার, আব্দুস সবুরের ছেলে ফারুক সিকদারসহ প্রভাবশালী মাটি খেকো সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা থেকে অবৈধ ভাবে ওইসব মাটি কেটে বিভিন্ন জায়গায় লাখ লাখ টাকার মাটি বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। বেড়িবাঁধ ঘেঁসে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কাটা হলেও নিরব দর্শকের ভুমিকায় রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাঁশখালীতে কর্মরতরা। এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাঁশখালী অফিসে গেলে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন লোক বলেন, প্রতিবছর ওই মাটি সিন্ডিকেট চক্র সদস্যরা বেড়িবাঁধ ঘেঁসে গর্ত করে মাটি কেটে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা অবৈধ ভাবে উপার্জন করে থাকে।
গত বছর উপজেলা প্রশাসনের লোকজন এসে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার পর কিছুদিন মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে তারা পূনরায় মাটি কাটা শুরু করেছে।বেড়িবাঁধ ঘেঁসে মাটি কেটে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি করার ফলে আমাবস্যা -পূর্ণিমার জোয়ারের পানির স্রোতে বেড়িবাঁধটি বিলিন হয়ে যাওয়াতে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।এতে মানুষের বসতঘর, পুকুর, মৎস্য প্রজেক্ট ও দোকানপার্টে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়াতে লোকসানে পড়ে স্থানীয়রা।
মাটি খেকোরা প্রভাবশালী হওয়াতে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়না। সমুদ্রের আগ্রাসন রোধ করতে বেড়িবাঁধ রক্ষা ও স্থানীয়দের বসতঘর রক্ষার জন্যে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয় সচেতন মহল।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল খালেক পাটোয়ারীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এধরণের কোন খবর পাইনি, তবে এই মুহূর্তে মাটি কাটছে কিনা একটু খবর নেন, মাটি খেকোরা যতই প্রভাবশালী হোকনা কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।