গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রিয় কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মো. কমিশনার বলেছেন, চন্দনাইশ ও পটিয়াকে সুন্নিয়তের দুর্গ বলা হয়। মসজিদ ভিত্তিক ইউনিট গঠন করে সংগঠনের কার্যক্রম চালানোর আহবান জানান। কোভিড-১৯ জীবনের মায়া ত্যাগ করে মৃত ব্যাক্তিদের কাফন-দাফন সম্পন্ন করে মৃতুঞ্জয় হয়েছে। এ সংগঠনটি হুজুর কেবলার নির্দেশে ২০১০ সাল থেকে মানব জাতির কল্যাণে কাজ করে আসছে। আগামীতে ও কাজ করে যাবে। গাউসিয়া কমিটিতে কেউ দায়িত্ব নিতে আসে না। আল্লাহর হুকুমে দায়িত্ব পেয়ে যায়।
দীর্ঘ ৭ বছর পর সম্মেলনের মাধ্যমে যে নতুন নেতৃত্ব আসছে তাদেরকে তিনি অভিনন্দন জানিয়ে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
গত ১৫ মে সন্ধ্যায় গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ দোহাজারী পৌরসভার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
উত্তর-দক্ষিণ মহানগর গাউসিয়া কমিটির আহবায়ক আবদুল হাই মাসুমের সভাপত্বিতে সম্মেলনের ১ম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রিয় কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মো. কমিশনার, প্রধান বক্তা ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক কমর উদ্দীন সবুর।
আলোচনায় অংশ নেন, পৌর মেয়র লোকমান হাকিম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সচিব অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, হাবিবুল্লাহ মাস্টার, অধ্যাপক আবদুল মন্নান, আবদুর রহিম আনছারী, আবদুল গফুর খঁান, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম, মাহাবুব ছোবহান, মাও. খোরশেদুল আলম রেজভী, আশেক হোসেন বাবু, ব্যাংক ম্যানেজার মোরশেদুল আলম, শরফুদ্দিন চৌধুরী কাজল প্রমূখ।
২য় অধিবেশনে দোহাজারী পৌরসভা ৯ ওয়ার্ডে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনার পাশাপাশি দোহাজারী পৌরসভার জাফর আহমদ খাঁনকে সভাপতি, মাও. তৌহিদুল মোস্তফা কাদেরীকে সাধারণ সম্পাদক, মো. মরছুর আলীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ২ বছরের জন্য দোহাজারী পৌরসভা কমিটি গঠন করা হয়।
মাও. খোরশেদুল আলমকে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্ঠা, মাও. মহসিন আজাদীকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, আনোয়ার হোসেনকে অর্থ সম্পাদক, মাও. ইলিয়াছ হোসেন কাদেরীকে দাওয়াতে খায়র সম্পাদক, মো. সোলাইমানকে যুগ্ম সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
অবশিষ্ট পদগুলি আমাগী ১৫ দিনের মধ্যে ঘোষণা করে কমিটি অনুমোদনের জন্য জেলা কমিটিতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়।