বোরকা পড়ে বোনের প্রক্সি পরীক্ষা দিতে গিয়ে পটিয়ায় ধরা পড়েছে আপন ভাই। তার নাম মো: ইব্রাহিম (১৯)। সে উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মুকুটনাইট গ্রামের মৃত ছৈয়দ হোসেনের পুত্র।
মঙ্গলবার সকালে পটিয়া শাহচান্দ আউলিয়া মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষার্থী রোজিনা আকতারের পরিবর্তে তার ভাই পরীক্ষা দিতে গিয়ে আটক হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভুঁইয়া জনি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রক্সি পরীক্ষার্থীর ভাই ইব্রাহিমকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয় এবং পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করে।
জানা গেছে, উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের মুকুটনাইট গ্রামের মৃত ছৈয়দ হোসেনের কন্যা রোজিনা আকতার ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। গেল বছর দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় রোজিনা আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। চলতি বছর অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় পুনরায় অংশগ্রহণ করে রোজিনা। বোনকে পাশ করাতে ভাই বোরকা পড়ে দাখিল পরীক্ষা দিতে যায়। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রের পরিদর্শকের সন্দেহ হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদে বোরকা পড়ে বোনের পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট ও পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভুঁইয়া জনি জানিয়েছে, দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে বোরকা পড়ে প্রক্সি পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছে পরীক্ষার্থীর ভাই। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করায় তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে এবং পরীক্ষার্থী রোজিনা আকতারকে বর্হিস্কার করা হয়েছে।