চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সিএনজি চালিত ট্যাক্সী যোগে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক পিটুনিতে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল (শনিবার) সকালে থানা পুলিশ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বণিক পাড়ার পূর্ব পাশে সুবেদার পুকুরপাড় এলাকা থেকে যুবকের লাশটি উদ্ধার করে। ওই যুবক হলেন মো. শাহাবুদ্দিন (৩৫)। তিনি উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সাঁচি বেপারী পাড়ার নুর আহমদ এর ছেলে। নিহতের স্ত্রীর অভিযোগ, দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার পা কাটা শহিদ ও মিনহাজের নেতৃত্বে তাঁর স্বামীকে হত্যা করা হয়।
নিহতের স্ত্রী ফারজানা বেগম (২৪) বলেন,
শুক্রবার সকাল দশটার দিকে স্থানীয় দুই মাদকসেবীর নেতৃত্বে কয়েকজন আমার স্বামীকে ঘর থেকে ডেকে ট্যাক্সিতে করে নিয়ে যাই। তখন স্বামীকে বললাম, তারা খারাপ লোক, তাদের সাথে যাবেন না। তিনি আমার কথা শুনেননি। কয়েক ঘণ্টা পর স্বামীকে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। বিকালে একবার ফোন রিসিভ করলেও তিনি কথা বলেননি। সারারাত ঘরেও আসেননি । সকালে শুনছি রামপুর বনিকপাড়ায় স্বামীর পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত আমার স্বামীকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।
নিহত শাহাবুদ্দিনের বাবা হাজী নুর আহমদ বলেন, বিগত প্রায় ৫ বছর আগে আমার ছেলে বিদেশ থেকে দেশে আসে। কয়েক বছরের মধ্যে সে মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ে। তিন দিন আগে পারিবারিক বৈঠকে তাকে আবারও বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে আমার ছেলেটা খুন হল। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচার চাই।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী এওচিয়া ইউনিয়নের আবুল কাশেম এর ছেলে আবুল হাসান (৪২) বলেন, দেওদীঘি তহশিলদার অফিসের পাশের বিলে শুক্রবার বিকেলে আমি আলু ক্ষেত দেখতে যায়। সেখানে দেখি অফিসের পূর্ব পাশে বিলে গাছ বাগানে এক লোককে কেউ মারধর করছে। কাছে গিয়ে দেখতে গেলে দেখা যায় স্থানীয় এক মাদকসেবীর নেতৃত্বে অন্তত সাতজন শাহাবুদ্দিনকে শক্ত গাছের বাটাম দিয়ে বেদড়ক পিটুনি দিচ্ছে, আবুল হাসান আরো জানান পরে তারা আমাকেও দড়ি দিয়ে বেঁধে মারতে থাকে। এক বন্ধুর সহায়তায় পরে আমি ছাড়া পাই।
মাদার্শা ইউনিয়ন (ইউপি)পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আহমদ মিয়া বলেন, শাহাবুদ্দিন মাদকাসক্ত। সেই সূত্রে স্থানীয় মাদকাসক্তদের সাথে শাহাবুদ্দিনের সম্পর্ক রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে নিহত যুবক শাহাবুদ্দিন মাদকাসক্ত ছিল । যেকোনো দ্বন্দ্বের জেরে সে বেধড়ক পিটুনিতে নিহত হতে পারে। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের পরিবার মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে সাহাব উদদীনকে মারার সময়, আবুল হাসানকেও হত্যাকারীরা মারধর করলে সে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে অবহিত করে ৯৯৯ এ কল করছিলো, স্থানীয়রা জানিয়েছেন পুলিশও দেওদীঘির উত্তর পার্শ্বে আসছিল কাল বিকেলে তখন পুলিশ সব দেখেছে বলেও প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন স্থানীয় মো:আরিফ।
সে আরো বলেন আবুল হাসানের ফোনে আসা পুলিশ অফিসারের নাম আমি জানিনা তবে লম্বা করে অফিসারটা।