নতুন বছরের প্রথম রাতেই ভারতের কাটরার বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অসংখ্য। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা।
ইতোমধ্যে আহতদের স্থানীয় নারায়ণী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মন্দির চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংহ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, রাত পৌনে ৩টার দিকে মন্দিরে দর্শনার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফলে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে ১৩ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
জম্মু-কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে এমনিতেই প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি অতিরিক্ত ভিড় হয়। কাটরা থেকে হেঁটে পাহাড়ি পথে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ কিলোমিটার যেতে হয় বৈষ্ণোদেবীর দর্শন পাওয়ার জন্য। অনেকেই ওই পথ ঘোড়ার চড়ে যান। যদিও পাহাড়ি পথের প্রায় পুরোটাই রাস্তা করা হয়েছে। খাদের দিকে রেলিং এবং জাল দিয়ে ঘেরা।
তবে মন্দিরের ভেতরে পথ সঙ্কীর্ণ। সেখানে সাধারণ সময়েই ভিড় থাকে। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মন্দিরের ভেতরে বৈষ্ণোদেবীর মূর্তি যেখানে রয়েছে, সেই সঙ্কীর্ণ পথেই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। সেখানেই পদপিষ্ট হওয়ার ওই ঘটনা।
এ ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন। শোক ব্যক্ত করেছেন রাহুল গান্ধীও।