টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে জেমস নিশামের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ পায় রংপুর রাইডার্স। মিরপুরের মাঠের চরিত্র অনুযায়ী রংপুরের জয়ের পক্ষে বাজি ধরাই যায়। কিন্তু প্রতিপক্ষ দলটার নামও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিপিএলের সফলতম দল তারাই। রংপুরকে কারণটা ভালোমতো বুঝিয়ে দিলো লিটন দাসের দল। লিটনের ক্যাপ্টেন্স নক ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট জয় এনে দিয়েছে কুমিল্লাকে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের দশম আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এই জয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জেমস নিশামের ৪৯ বলে ৯৭ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে রংপুর। জবাবে ১৮.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।
অবশ্য কুমিল্লার শুরুটা আশা জাগানিয়া ছিল না। নিশাম ঝড়ের পর ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই সুনীল নারিনের উইকেট হারায় কুমিল্লা। ফজলহক ফারুকির বলে উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানেরে হাতে ধরা পড়েন এই উইন্ডিজ অলরাউন্ডার।
এরপরের সময়টা কুমিল্লার দুই ব্যাটার লিটন ও তাওহীদ হৃদয় রাজত্ব করেছেন। অধিনায়কত্ব পেয়ে শুরুটা ভয়াবহ হলেও গত কয়েক ম্যাচে লিটন অপ্রতিরোধ্য। এদিনও দারুণ খেলেছেন। সঙ্গী আরেক ইনফর্ম ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। দুজন মিলে ৮৯ বলে ১৪৩ রানের জুটি গড়েন।
৪৩ বলে ৫ চার ও ৪ ছয়ে ৬৪ রান করে আবু হায়দারের বলে তাওহীদ বিদায় নিলে এই জুটি ভাঙে। হৃদয় বিদায় নিলেও অধিনায়ক লিটন কুমিল্লাকে জয়ের পথে এগিয়ে নিতে থাকেন।
দলীয় ১৬১ রানে বিদায় নেন জনসন চার্লস। ফারুকির শিকারে পরিণত হওয়ার আগে অবশ্য ৩ বলে ১০ রানের ক্যামিওতে কাজ করে দিয়ে যান তিনি। দলের খাতায় আর ১২ রান যোগ হতেই অধিনায়ক লিটনও বিদায় নেন। জয়ের জন্য তখন অবশ্য ১৩ বলে মাত্র ১৩ রান দরকার কুমিল্লার। মেহেদী হাসানের বলে নিশামের হাতে ধরা পড়ার আগে ৫৭ বলে ৯ চার ও ৪ ছয়ে ৮৩ রান করেন তিনি।
কুমিল্লার অধিনায়ক বিদায় নিলে বাকি রানটুকু তুলতে মাত্র ৪ বল খরচ করেছেন দুই বিদেশি রিক্রুট মঈন আলি ও আন্দ্রে রাসেল। ফারুকিকে চার ও ছয় মেরে জয় নিশ্চিত করেন মঈন। ৬ বলে ১টি করে চার ও ছয়ে ১২ রান করেন তিনি। রাসেল ২ রানে অপরাজিত থাকেন।
রংপুরের পক্ষে ফজলহক ফারুকি ৩.৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। আবু হায়দার ও মেহেদী হাসান একটি করে উইকেট শিকার করেন।