প্রথিতযশা সাহিত্যিক, বরেণ্য সাংবাদিক, বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান কবি, গীতিকার, সব্যসাচী লেখক, ও ঋদ্ধিমান কৃ্তিব্যক্তিত্ব, বহুমুখী কর্মপ্রতিভার অধিকারী, বহু গ্রন্থ প্রণেতা, মননশীল সমাজ বিনির্মাণে এবং শিক্ষা প্রসারে দৃপ্তিমান সংসপ্তক সংগঠক, সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় কালোত্তীর্ণ পুণ্যপুরুষ বিমলেন্দু বড়ুয়ার ১৭তম প্রয়াণ বার্ষিকী স্মরণে সাংবাদিক বিমলেন্দু বড়ুয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে স্মরণ সভা ও ২য় স্মারক বক্তৃতামালা “সব্যসাচী সাহিত্যিক সাংবাদিক বিমলেন্দু বড়ুয়া” শীর্ষক অনুষ্ঠান গত ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ বিকেল ৪ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবস্থ বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক বিমলেন্দু বড়ুয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, শিক্ষাবিদ আচার্য প্রফেসর ডঃ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাংবাদিক বিমলেন্দু বড়ুয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের মহাসচিব প্রদীপ কুমার বড়ুয়া আনন্দ। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডাঃ প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া।
পূর্বাহ্নে সাংবাদিক বিমলেন্দু বড়ুয়া রচিত গান পরিবেশনের মাধ্যমে তাঁর প্রতিকৃ্তিতে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন অতিথিবৃন্দ ও সাংবাদিক বিমলেন্দু বড়ুয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন –এর নেতৃবৃন্দ । প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে সাংবাদিক বিমলেন্দু বড়ুয়ার পারলৌকিক সদগতি কামনাকরা হয়। অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য একটি স্মারক প্রকাশিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান উপাস্থাপনা করেন সংস্কৃতিসেবী সুকলা বড়ুয়া টিমন এবং প্রফেসর ডঃ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান বড়ুয়ার লিখিত স্মারক বক্তব্যটি পাঠ করেন চম্পাকলি বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর নিউজ এডিটর কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার, দৈনিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও জিটিভি’র ব্যুরো চীফ অনিন্দ্য টিটো। সম্মাণিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ তুষার কান্তি বড়ুয়া, বাংলাদেশ ভারত নেপাল ইতিহাস মঞ্চ-এর চেয়ারম্যান লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া,চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের (সিএইচআরসি) সভাপতি সোহেল ফখরুদ-দীন প্রমুখ। শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশগ্রহণ করেন কমলেন্দু বিকাশ বড়ুয়া, উদয় শংকর বড়ুয়া, মানস কুমার বড়ুয়া, রেখা বড়ুয়া, সুচরিতা সুচি, উৎপল বড়ুয়া, স্বর্ণা তালুকদার এবং পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান কনিষ্ঠা কন্যা অন্তি বড়ুয়া।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে সাংবাদিক বিমলেন্দু বড়ুয়া আজীবন পবিত্র ও মর্যাদাকর পেশা হিসেবে ধরে রেখেছিলেন। তিনি এই পবিত্র পেশাকে কলুষমুক্ত রেখেছিলেন। সে কারণে তিনি সাংবাদিক হিসেবে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি থেকে মনীষীতে পরিণত হয়েছিলেন। সভায় বক্তারা বোয়ালখালী উপজেলায় বিমলেন্দু বড়ুয়ার জন্মভূমির স্মৃতিকে ধরে রাখতে একটি সড়কের নাম ‘সাংবাদিক বিমলেন্দু বড়ুয়া সড়ক’ নামে নামকরণের প্রস্তাব করেন। বক্তারা বলেন, বিমলেন্দু বড়ুয়া মূল্যবান ১৮টি গ্রন্থ রচনার মাধ্যমে মানুষের কাছে উদ্ভাসিত মনীষী হিসেবে বেঁচে থাকবেন। ভারত উপমহাদেশের বৌদ্ধ জাগরণের ইতিহাস তিনি রচনা করে প্রাতঃস্মরণীয় বাঙালি মনীষী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।