পটুয়াখালীর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় অনির্দিষ্টকালের জন্য খাবার হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। তাদের অভিযোগ, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে বার বার হয়রানি করায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এমন পরিস্থিতিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকে কুয়াকাটায় এমন অবস্থা চলছে।
কুয়াকাটা হোটেল ও রেস্তোরাঁ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম মুন্সি বলেন, প্রতিদিন খাবার হোটেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একই হোটেলে একাধিকবার জরিমানা করা হচ্ছে। মোবাইল কোর্টের নামে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। তাই সকল হোটেল মালিক এক হয়ে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি জানান, গত ১১ আগস্ট আল-মদিনা নামের একটি হোটেলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তখন ওই হোটেল মালিক তার সমস্যা সমাধানের জন্য ১৫ দিন সময় চেয়ে নেন। কিন্তু গতকাল (১৬ আগস্ট) আবার ওই হোটেলকেই ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। হোটেল মালিক জরিমানা না দিতে পারায় তাকে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয়।
তিনি বলেন, প্রশাসনের এই হয়রানির সামাল দিয়ে আমাদের হোটেল খোলা রাখা সম্ভব না। পরবর্তীতে সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করবো।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গতকাল জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের সময় না দিয়ে ফেরত পাঠান।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কলিম মাহমুদ জানান, করোনার সময় আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে আমরা যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি সেই মুহূর্তে বার বার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আমাদের পথে বসানো হচ্ছে। প্রশাসন আমাদের বিষয়টি সহজ করে দেখলে আমরা হোটেল খুলে দেবো।
এদিকে সকাল বেলা খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পর্যটকরা। তারাই এই ভোগান্তির অবসান কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর কুয়াকাটায় পর্যটকদের চাপ বাড়ছে। এ অবস্থায় হোটেল, রেস্তোরাঁর খাবারের মান নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। তাদের যদি কিছু বলার থাকে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে বলতে পারে। সেভাবেই তাদের বলা হয়েছে। এভাবে দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট করা অযৌক্তিক।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি।