আন্দোলনের পর এবার চট্টগ্রামসহ সব নগরীতে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া নেওয়া হবে। রোববার (৫ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। সেখানে ঢাকার মতো কিছু শর্তসাপেক্ষে এ ভাড়া কার্যকরের কথা জানিয়েছে পরিবহন মালিক সমিতি।
১১ ডিসেম্বর (শনিবার) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। সেখানে এনায়েত উল্যাহ বলেন, যেসব শহরে সিটি সার্ভিস আছে সেখানেও হাফ ভাড়া নেওয়া হবে। তবে আন্তঃজেলা পর্যায়ে হাফ ভাড়া নেওয়া হবে না।
এ ছাড়া বাসে ছাত্রছাত্রীদের অবশ্যই নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বৈধ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে, প্রয়োজনে প্রদর্শন করতে হবে। বাসে চলাচলের ক্ষেত্রে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়ার সুবিধা পাবেন। ছুটির দিন হাফ ভাড়া কার্যকর হবে না। হাফ ভাড়া শুধু মহানগরে কার্যকর থাকবে।
গত কয়েকদিন ধরেই সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও হাফ ভাড়া নিশ্চিত করা, নিরাপদ সড়কসহ ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। এসব দাবি নিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে একই দাবিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয় শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল।
সংবাদ সম্মেলন জানানো হয় শিক্ষার্থীর ছবিযুক্ত আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে হবে। সরকারি ছুটির দিন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মৌসুমি ছুটিতে হাফ ভাড়া কার্যকর হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিনিয়রসহ সভাপতি কফিল উদ্দিন আহামদ, চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি-ঢাকার যুগ্ম-সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব গোলাম রসুল বাবুল, মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, মো. শাহজাহান মিজানুর রহমান, আহসান উল্যাহ।