নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে পাতানো খেলায় মেতেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। গত দুই বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দিয়ে অপরাজনীতির হোতাদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয় থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, শুনেছি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিমকে আহ্বায়ক, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদুল্যাহ খান সোহেল ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হচ্ছে। কিন্তু এরা সবাই সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর তল্পিবাহক। এরাই একরামকে অপরাজনীতি শিখিয়েছে।
তিনি বলেন, এতদিন বললো দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত আসবে। এখন শুনছি কে নাকি বিদেশে, আগামী ২০ তারিখ হবে। সেদিনও হয়তো বলবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে নেই, পরে হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর বিদেশ যাওয়ার কথা রয়েছে।
কাদের মির্জা বলেন, চৌমুহনী জেলার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। সেখানেও আরেক এমপি মামুনুর রশীদ কিরন ও সাবেক পৌর মেয়র ফয়সালের নেতৃত্বে সন্ত্রাস চলছে। এছাড়া সেনবাগ, সুবর্ণচরসহ বিভিন্ন উপজেলায় জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বের সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমার লোকজনকে গ্রেফতার করলে হত্যাসহ ১৭ থেকে ১৮টা মামলা দেয়। আর প্রতিপক্ষের কেউ গ্রেফতার হলে পাঁচ থেকে ছয়টা মামলা দেয়। ওদের সহজে জামিন হয়ে যায় আর আমার লোকরা দীর্ঘদিনেও জামিন পায় না।