চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হসপিটালের আয়োজনে ‘সব ধরণের চিকিৎসাসেবা মিলছে এভারকেয়ার হসপিটালে, তবে চট্টগ্রাম থেকে বিদেশ কেন?’ শীর্ষক একটি এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালটির অডিটোরিয়ামে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে গিয়ে রোগীদের যেসব প্রতিবন্ধকতা ও ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয় তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ।
যারা দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যান তাদের ভাষাসংক্রান্ত জটিলতা, অপরিচিত স্বাস্থ্যসেবা, দীর্ঘ অপেক্ষা এবং মাত্রাতিরিক্ত খরচ সহ নানা প্রকার ভোগান্তির বিষয় তুলে ধরেন এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর চিফ অপারেটিং অফিসার সামির সিং।
এছাড়া গোলটেবিল বৈঠকে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর মেডিকেল সার্ভিস বিভাগের ডিরেক্টর ডা. দীপক সিং বলেন, 'এভারকেয়ার হসপিটাল তাদের অত্যাধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা এবং দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীকে সর্বোচ্চ মানের সেবা দিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে বিদেশ গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের আজকের এই আলোচনার উদ্দেশ্য হলো চট্টগ্রামে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির বিষয়টি মানুষকে জানানো এবং দেশে চিকিৎসা নেওয়া সুফলসমূহ তুলে ধরা।'
বৈঠকে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর জেনারেল ও ল্যাপারস্কোপিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো: সুরমান আলী বলেন, 'এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামবাসীকে সর্বোচ্চ মানের স্বাস্থ্যসেবা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আশা করছি, আজকের এই গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনের মধ্য দিয়ে শহরে যে অত্যাধুনিক চিকিৎসাসেবা পাওয়া যাচ্ছে সে বিষয়ে মানুষকে জানাতে এবং ঘরের কাছেই প্রয়োজনীয় সেবা নিতে উৎসাহিত করতে পারবো।'
আলোচনায় চিকিৎসাসেবায় হাসপাতালটির অগ্রগতি তুলে ধরা হয় এবং বিদেশের তুলনায় এভারকেয়ার হসপিটালের তুলনামূলক কম চিকিৎসা ব্যয় হয় বলে দাবি করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালটি ইতোমধ্যে প্রথমবারের মতো অ্যাওয়েক ক্র্যানিওটোমি সার্জারি, বোন ম্যারো ট্র্যান্সপ্ল্যান্টেশন, বাইল্যাটেরাল নী রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি, বোটক্স ব্যবহার করে সার্ভিক্যাল ডিসটোনিয়া, স্ট্রোক থ্রোম্বলোসিস প্রসিডিওর, ব্রেইন টিউমার রিমুভ্যাল সার্জারি, থোরাসিক এন্ডোভাসক্যুলার অ্যারোটিক রিপেয়ার (টি ই ভি এ আর) প্রসিডিওর, ভার্টিব্রা জোড়া লাগানোর ক্ষেত্রে এম আই এস (মিনিম্যালি ইনভ্যাসিভ সার্জারি) এবং পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি প্রসিডিওর সহ বেশকিছু মাইলফলক অর্জন করেছে।