ধর্ষণের পর আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ, গ্রেফতার ৪
নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : সোমবার, ২০২১ এপ্রিল ১২, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
নারীদের টার্গেট করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন তারা। অল্পদিনের প্রেমের এই সম্পর্কের শেষ হয় ধর্ষণ ও মুক্তিপণ আদায়ের মধ্য দিয়ে। সংঘবদ্ধ একটি চক্র চট্টগ্রামে ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি করে আসছিল।
শনিবার (১০ এপ্রিল) রাতে এমন চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তারা হলেন- কালু মিয়া ওরফে প্রকাশ রাজু (১৯), সোহেল মিয়া (১৯), দুলাল বাবুর্চি (৩৭) এবং তারেক আকবর (১৯)।
রোববার (১১ এপ্রিল) পুলিশ জানিয়েছে, কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জ এলাকা থেকে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ পায় পুলিশ। পরে এ ঘটনায় ব্যাপক তদন্তে নামে তারা। একই দিন বিকেল ৫টা থেকে রাতভর অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় একে একে চক্রের চার সদস্যকে।
পুলিশ আরও জানায়, ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরী কাজ করেন কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা জিতুর বাসায়। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দেখা হয় এক সপ্তাহ পরিচয়ের প্রেমিক কালু মিয়া ও তার চাচাত ভাই মো. সোহেলের সঙ্গে। তারা ওই কিশোরীকে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে। তিনি রাজি না হলে জোর করে একটি সিএনজিতে তুলে আকবর শাহ থানার মীর আউলিয়া মাজারের পাহাড়ে নিয়ে যায়।
পুলিশ আরও জানায়, পাহাড়ের নির্জন স্থানে তারা কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিছুক্ষণ পর চক্রের আরও কয়েকজন সদস্য আসে। তারা কিশোরীকে শাপলা আবাসিক মডেল পল্লী নবাব মিয়ার বাড়িতে একটি রুমে আটকে রাখে। তারপর কিশোরীর বোন সুলতানা আক্তার ও ভাই তাজ ইসলামকে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এছাড়াও কালু মিয়া শনিবার রাতে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘ধর্ষক ও চাঁদাবাজ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’