গরীর বিভিন্ন স্থানে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। জহুর হকার্স মার্কেটে দেখা মিলেছে উপচেপড়া ভিড়। অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক। আবার মাস্ক থাকলেও অনেকে ঝুলিয়ে রেখেছেন থুতনিতে, কেউ গলায়, কেউ কোমরে।
অন্যদিকে শারীরিক দূরত্ব মানতেও স্পষ্ট অনীহা চোখে পড়েছে। ভিড় করে মার্কেটের প্রবেশপথে চলাচল করছিলেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
শুধু শপিংমল নয় ৭ দিনের লকডাউনের খবরে মুদি ও কাঁচাবাজারেও ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। রিজিয়া পারভিন নামে এক নারী বলেন, সরকার ৭ দিনের জন্য লকডাউন দিয়েছে। এই ৭ বাসা থেকে বের হওয়া যাবে না। তাই প্রয়োজনীয় বাজার সদাই কিনে রাখছি। দোকানদাররা বলছেন, লকডাউনের খবরে মানুষ প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস কিনে মজুদ করছে। এতে বাজারে সাময়িকভাবে সংকট তৈরি হচ্ছে। ফলে বেশ কিছু পণ্যের দাম ইতোমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে করোনা মোকাবিলায় চট্টগ্রামে শতভাগ প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান। শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি জানান, করোনা মোকাবিলায় গতবছরের চেয়ে ভালো প্রস্তুতি রয়েছে। গতবারের মত এবার সমস্যা হবে না। এসময় সরকারি নির্দেশনাসমূহ মেনে চলছে কিনা তা তদারকিতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ টিম মাঠে থাকবে বলে জানান তিনি।