চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, এদেশে অনেকেই স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছেন, রক্ত দিয়েছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন কিন্তু সফলতা পাননি। একমাত্র বঙ্গবন্ধুই বাঙালীকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। সে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য বঙ্গবন্ধু সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকদের হাতে স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর সব স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে যায়।
অন্যদিকে ইতিহাসের চাকা পেছনের দিকে ধাবিত হয়। ১৯৮১ সালের ১৭মে শেখ হাসিনা সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে দেশে ফিরে আসার পর মানুষ এ মাটিতে বঙ্গবন্ধুকে যেন আবারও ফিরে পাওয়ার স্বাদ পেলো। তিনি দেশের গণতান্ত্রিক বিধি বিধান ফিরিয়ে আনা ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েন। তাঁর অক্লান্ত দৃঢ়তার কারণে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিগণিত হয়েছে।
মঙ্গলবার টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে চসিকের উদ্যোগে তাঁর কর্মময় জীবনের সাফল্যগাঁথা চসিক এর স্কুল, কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অনলাইন ফ্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তুলে ধরার কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সম্মোহনী ও সাহসী নেতা। তাঁর সাহসের জন্য আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকারদের বিচার করতে সক্ষম হয়েছি, পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী ট্যানেল তৈরী করতেও সক্ষম হয়েছি। আমাদের দেশকে এক সময় যারা তলাবিহীন ঝুড়ির সাথে তুলনা করতো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে সেই দুর্নাম দূর হয়েছে। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের মাঝে উন্নয়নের যাত্রায় অনন্য অভিযাত্রী। এজন্য এসডিজি উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলাদেশের করোনা মোকাবেলায় ও দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় পথিকৃত হিসেবে বিশ্ব দরবারে রোল মডেলে প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি আজ বাঙালীর আস্থা ও বিশ্বাসের ঠিকানা।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের সহযাত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর জন্মদিনে চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখি। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রত্যেকেই স্বীয় অবস্থান থেকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারলেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরা সফল হবো।
তিনি নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের জন্মের সঠিক ইতিহাস ও শেখ হাসিনার কর্মজীবন ও সাফল্যগাথাঁ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে আহবান জানান।
প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহারের সঞ্চালনায় ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, চসিক শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড কউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরগণ ও চসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীঘায়ু কামনা করে চসিক মিলনায়তনে কোরান খানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল ও মুনাজাত পরিচালনা করেন চসিক মাদ্রাসা পরিদর্শক আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী।