চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে মালিকপক্ষের পরিচালনায় নানা অনিয়ম, অবহেলার ও অসংগতি পাওয়া গেছে। এ সময় প্রতিবেদনে ৯ দফা সুপারিশও তুলে ধরা হয়।
সোমবার (১৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান।
তিনি জানান, অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা এটিই প্রথম। অক্সিজেন কলামে চাপের কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে অদক্ষ কর্মী দিয়েও প্ল্যান্টটি চালানো হচ্ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ভবিষ্যতে অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলোতে কীভাবে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব সেই বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে নয় দফা সুপারিশও তুলে ধরা হয়।
এ ঘটনায় মালিকসহ ১৬ জনকে আসামি করে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এদিকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সাত কার্যদিবসের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
গত ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাতজন নিহত হন এবং আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন।