সীতাকুণ্ড থানার সলিমপুর এলাকা থেকে ২৭ মামলার আসামি কাজী মশিউর রহমানকে (৬০) গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার কাজী মশিউর রহমান, খুলনা জেলার ফুলতলা থানার পায়গ্রাম এলাকার মৃত কাজী গোলাম হাসানের ছেলে।
তিনি সলিমপুর এলাকায় বসবাস করেন।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট নিয়াজ মোহাম্মদ চপল।
তিনি জানান, সলিমপুর এলাকায় নাশকতা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য কিছু লোক অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত সোয়া ৯টার দিকে অভিযান চালিয়ে কাজী মশিউর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। কাজী মশিউর রহমানকে তল্লাশির মাধ্যমে তার পায়জামার পেছনে গুঁজানো অবস্থায় একটি বিদেশি পিস্তল এবং তার হেফাজতে ডান হাতে থাকা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর থেকেএকটি ওয়ানশ্যুটারগান, দুইটি এলজি, একটি দোনলা বন্দুক, একটি ম্যাগাজিন এবং ১৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, কাজী মশিউর রহমান কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অবৈধ অস্ত্রগুলি ছিন্নমুল এলাকায় প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে এবং এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তার দলীয় লোকদের দেওয়ার উদ্দেশ্যে এবং নিজে ব্যবহারের জন্য নিয়ে অবস্থান করছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র বেচাকেনা ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তার নেতৃত্বে সরকারি বনভূমি দখল, খুন, ধর্ষণ, হানাহানি, আধিপত্য বিস্তার, অপহরনসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম জঙ্গল সলিমপুরে ছড়িয়ে পড়েছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় খুন, ধর্ষণ, হানাহানি, অপহরণ ও জবর দখলসহ বিভিন্ন অপরাধের ২৭টির বেশি মামলা রয়েছে। কাজী মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর ১৬টি অস্ত্র, একটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ওয়ান শ্যুটারগান এবং ৫টি এসবিবিএল ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ সলিমপুরের ছিন্নমূল এলাকা থেকে কাজী মশিউর রহমানকে গ্রেফতার করেছিল র্যাব-৭ । কারাগার থেকে বাইরে এসে এলাকায় পুনরায় প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে