রবিবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২২, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
#
আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে ফুঁসে উঠছে সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : শনিবার, ২০২১ ফেব্রুয়ারী ০৬, ০১:৪৯ অপরাহ্ন
#
সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমারের মূল শহর ইয়াঙ্গুনে সমাবেশ করেছে কয়েক শ মানুষ। এসময় বিক্ষোভকারীরা ‘সামরিক স্বৈরশাসক, ব্যর্থ, ব্যর্থ’, ‘গণতন্ত্রের, জয়, জয়’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। সেনাবাহিনী দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই দেশটিতে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ। শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা এসময় নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিসহ সেনাবাহিনী কর্তৃক আটককৃত অন্যদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানায়। অং সান সু চি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে সেনাবাহিনী জনগণের সমাবেশ বন্ধ করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও এই প্রতিবাদ জানানো হয়। মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই সেখানে অভ্যুত্থানবিরোধী অসহযোগ শুরু হয়েছে। চিকিৎসাকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের অসহযোগ আন্দোলনের পাশাপাশি অনেকে বাড়িতে বসেও বিভিন্ন কায়দায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। অহিংস অসহযোগ থেকে একটু একটু করে দানা বাঁধছে আন্দোলন। একে একে আন্দোলনে যোগ দিয়েছে শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন যুবদল, সরকারি ও বেসরকারি খাতের বহু কর্মী। শুক্রবার সর্বশেষ আন্দোলনে সামিল হয়েছে শিক্ষকরাও। কয়েকজন প্রভাষক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করা কিংবা সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্রতিবাদ জানিয়েছে চিকিৎসাকর্মী শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দেশটির অন্যতম প্রধান ইন্টারনেট সরবরাহকারী টেলিনর নিশ্চিত করেছেন যে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত টুইটার-ইনস্টাগ্রাম সাইট বন্ধ থাকবে। এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্থিতিশীলতা রাখতে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফেসবুক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় মিয়ানমারের সামরিক সরকার। আন্দোলনে নেমেছে মিয়ানমারের শিক্ষার্থীরা উল্লেখ্য, গত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, অং সান সু চিসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী। ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই জারি হয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ। ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ গত মঙ্গলবার সকাল থেকে চালু হলেও সব ধরনের সামাজিক মাধ্যম ব্লক রয়েছে। ফলে এসব মাধ্যম ব্যবহার করতে পারছে না সাধারণ মানুষ। হাড়ি-পাতিল পিটিয়ে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ সামরিক অভ্যুত্থানের দ্বিতীয় দিনে মিয়ানমারের বাসিন্দারা নাগরিক অবাধ্যতা আন্দোলন শুরু করেছেন। এসময় তারা গাড়ির হর্ন বাজিয়ে, থালাবাটি ও হাড়িপাতিল পিটিয়ে মিলিটারি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। এদিকে, সু চির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এসব অভিযোগে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে থাকবেন সু চি। সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) একজন মুখপাত্র জানান, সু চির বিরুদ্ধে আমদানি-রফতানি আইনে অভিযোগ করা হয়েছে। সু চির বিরুদ্ধে বেআইনি যোগাযোগযন্ত্র রাখার অভিযোগও করেছে পুলিশ। সেনা অভ্যুত্থান মিয়ানমা
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video