জাতিসংঘের আওতাভূক্ত বিশ্ব শান্তি দিবস-২০২৪' উদযাপন উপলক্ষে সারাবিশ্বের মত গত ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল ৪ টা হতে রাত ৮- ৩০ পর্যন্ত 'Cultivating a Culture of Peace' শীর্ষক শান্তি সংলাপ চট্টগ্রাম জামালখানস্হ বুড্ডিস্ট ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট শান্তিবাদী ও মানবিক সংগঠন অতীশ দীপঙ্কর পিস ট্রাস্ট বাংলাদেশ এর আয়োজনে ও সহ-সংগঠন এডিপিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, নেটওয়ার্ক ফর পিসমেকার্স এর সহযোগিতায় শান্তি দিবস অনুষ্ঠানে ধর্মীয় ও প্রথাগত শান্তিকর্মীগনের সমাগম ও শান্তি সংলাপে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর তুষার কান্তি বড়ুয়া।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক,সংগঠক সনৎ কুমার বড়ুয়া এর সঞ্চালনায় উক্ত শান্তি সংলাপে অংশগ্রহন করেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান বড়ুয়া, খ্রীস্টিয় ধর্মগুরু অসাই ত্রিপুরা, ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি মুহাম্মদ ছালেহ সুফিয়ান, লেখক ও গবেষক অধ্যক্ষ শিমুল বড়ুুয়া, এড. মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম সেলিম, ডা: দিবাকর বড়ুয়া, ভদন্ত ড. প্রিয়দর্শী মহাথের, সৌমেন চক্রবর্তী, অজিত কুমার আইচ, শরীফ নবাব হোসাইন, অসীম কান্তি বড়ুয়া, নারী নেত্রী রেবা বড়ুয়া, ড. শ্রীপতি দাশ, শাহজাদা মাওলানা আবু তৈয়ব শাহ আশরাফী, মানবিক বাজার এর উদ্যোক্তা মো: এরশাদ সিদ্দিকী, মুক্তা চক্রবর্তী, বিশ্ববন্ধন'র ব্যবস্হাপনা সম্পাদক নুর মোহাম্মদ, সংগঠক প্রনবরাজ বড়ুয়া, দৈনিক একুশের বাণী চট্টগ্রামের বিভাগীয় প্রধান মাহমুদ হায়দার জীবন, অধ্যাপক সুপ্তি বড়ুয়া, কাজী মোহাম্মদ হাসান, শিক্ষিকা দীপা বড়ুয়া প্রমুখ।
প্রতি বছর ন্যায় এ বছর স্হানীয় ধর্মীয় ও প্রথাগত শান্তিকর্মীগন জাতিসংঘের ঘোষিত শান্তির ধারণাকে শক্তিশালী ও শান্তির সংস্কৃতিকে বিকাশিত করার লক্ষ্যে স্হানীয় চাহিদা অনুযায়ী শান্তিকর্মীগনকে নিজ নিজ পরিবার হতে ন্যায্যতা, মূল্যবোধ, ধর্মীয় নীতিবোধের চর্চা, দায়িত্বশীলতা, পারস্পরিক সৌহার্দ্য, শ্রদ্ধা ও মানবিকতার বিকাশ ঘটাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহনে তাগিদ দেওয়া হয়। শান্তির সংস্কৃতি বিকাশে নেতৃত্বের বিকাশ, মানসিক উৎকর্ষতা, গুণগত শিক্ষা, টেকসই, অর্থপূর্ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচী বিকাশে সকল শান্তিকর্মীগনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে আহবান জানানো হয়। একইসাথে জাতিসংঘের টেকসই অভিস্ট লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জনে শান্তিকর্মীগনকে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ততার বিষয়ে জোর দেন।
সর্বোপরি, শান্তি সংলাপে বক্তাগন শান্তির ধারা ও সংস্কৃতিকে বিকাশের জন্য পারস্পরিক সহনশীলতা, ধর্মীয় শিক্ষার যথাযথ চর্চা, মনুষ্যত্ব, ও মানবিকতার উৎকর্ষতা সাধন, প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্হার গুনগত পরিবর্তন, তরুন ও ভবিষ্যত প্রজম্মের মাঝে টেকসই শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে মাঠ পযার্য়ে বিশেষ কর্মসূচী গ্রহনে শান্তি সংলাপ হতে প্রস্তাব পেশ করা হয়। পরিশেষে ভবিষ্যতে সংগঠনের শান্তি বিকাশের এ ধারা অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়ে ও উপস্থিত শান্তিকর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং আপ্যায়ণের মাধ্বমে অনুস্টান সুসম্পন্ন হয়।
মন্তব্য করুন