রাজধানী ঢাকার সঙ্গে গাজীপুরের সড়ক যোগাযোগ আধুনিক, দ্রুত এবং আরামদায়ক করতে চলছে এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) নির্মাণকাজ। সোমবার (১৫ আগস্ট) নগরীর উত্তরার জসীমউদ্দীন রোড়ের সামনের সড়কে ‘গ্রেইটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট’ শীর্ষক এ প্রকল্পের গার্ডারের নিচে চাপা পড়া প্রাইভেটকারে থাকা শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকটি কোম্পানিকে শর্তসাপেক্ষে কালো তালিকাভুক্ত (ব্ল্যাক লিস্ট) করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। সভাশেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একনেক বৈঠকে উত্তরার দুর্ঘনার বিষয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। প্রাথমিক প্রতিবেদনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফলতির তথ্য জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনা খুব মন দিয়ে শুনেছে এবং আবেগ তাড়িত হয়ে গিয়েছিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন- এ ঘটনার সঙ্গে যারা যারা জড়িত এবং যেই কোম্পানি জড়িত তাদের সবার বিরুদ্ধে তদন্ত-সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া যেসব কোম্পানি কাজে দায়িত্বজ্ঞানহীনের পরিচয় দেয় সেসব কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য বলেছেন তিনি।
এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উত্তরার ঘটনায় মর্মাহত ও কষ্ট পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এটা গ্রহণযোগ্য নয়। প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, ঠিকাদার এদের দায়িত্ব এ ধরনের কাজ যথাযথভাবে করা। তারা নিরাপত্তা না নিয়ে কীভাবে এ ধরনের কাজ করতে পারে। সড়ক পথ বন্ধ না করে তারা কীভাবে এ ধরনের কাজ করতো পারলো। কেন এটা হলো এটা ক্ষতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এটা গভীর তদন্ত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং দোষী সাব্যস্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। সে যেই হোক এটা গ্রহণযোগ্য নয়। জীবনের অনেক মূল্য। ঠিকাদার-পিডি সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সবার জীবন অত্যান্ত মূল্যবান।’
মন্তব্য করুন