শুক্রবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২০, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
#
জাতীয় জাতীয়

পটিয়ায় ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে নামজারীর অভিযোগ বদলী এসিল্যান্ড ॥ জড়িত তিন অফিস সহকারী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : রবিবার, ২০২৪ মার্চ ১৭, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
#

পটিয়া ভূমি অফিসের তিন অফিস সহকারী ও  সহকারী কমিশনার(ভূমি)র বিরুদ্ধে জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন করে বিট্রিশ আমলের একটি দলিল ৫ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে অবৈধভাবে নামজারীর অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় উপজেলা সহকারী কমিশনারকে বদলী করা হয়েছে। তবে ঘটনার মূল নায়ক জড়িত তিন অফিস সহকারী তারা বহাল তবিয়তে। তারা তিনজন মিলে এসিল্যান্ডের আইডি ও পার্সওয়ার্ড, বপটিয়া সদর ও বিভিন্ন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ সহকারী কর্মকর্তাদের আইডি ও পার্সওয়ার্ড অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রনে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারা এভাবে এসিল্যান্ডের আইডি ও পার্সওয়ার্ড ও উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাদের আইডি ও পার্সওয়ার্ড নিয়ন্ত্রে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে বলে সূত্রে জানায়

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানায়, উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী হামিদুর রহমান, অফিস সহকারী পাভেল মুহুরী, অফিস সহকারী সুদীপ্ত দাশ রানা, পটিয়া ভূমি অফিসে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত পড়ে।

তারা তিনজন মিলে এসিল্যান্ডের গোপন আইডি ও পাসওয়ার্ড, উপজেলার সদর এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের গোপন আইডি আইডি ও পার্সওয়ার্ড কৌশলে তাদের নিয়ন্ত্রনে নেয়। আদালতের নির্দেশ ছাড়া কিছু কিছু দলিলের নামজারী আইনগত বাঁধা থাকলেও ১৯৩৮ সালের দলিল এবং ১৯৫৭ এবং ১৯৬৯ সালের তিনটি দলিলের নামজারী ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। অবৈধভাবে নামজারীর ঘটনায় পটিয়া ভূমি অফিসে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অফিস সহকারী হামিদুর রহমান নিজকে সরকারি বড় এক কর্মকর্তার ভাই পরিচয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে এসিল্যান্ডের গাড়ি ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিগত কাজে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে আর্থিক লেনদেন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

 গত ১৪ মার্চ পটিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহমিদা আফরোজকে বদলী করা হয়েছে। বদলী করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। পটিয়া ভূমি অফিসে এ তিজন অফিস সহকারী নিয়োগ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অনিময় দুর্নীতি সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ কমতি নেই তাদের বিরুদ্ধে।  অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া ভূমি অফিসের অফিস সহকারী পাভেল মহুরী ঘটনাটি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে কাগজ পত্র দেখলে জানাতে পারবে জানান, বিভিন্ন অফিসের গোপন আইডি ও পার্সওয়ার্ড নিয়ন্ত্রে নিয়ে টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ডকুমেন্ট নিজের মত করে আপলোড দেয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেনি।  এ পটিয়া ভূমি অফিসের সহকারী হামিদুর রহমান বলেন, অনেক সময় কাগজ পত্র ঠিক থাকলে যে সালের হউক না কেন নামজারি করা সম্ভব, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের গোপন আইডি ও পাসওয়ার্ড এসিল্যান্ড স্যারের নিয়ন্ত্রে থাকে সেখানে অন্য কারে প্রবেশের সুযোগ নেই, কেউ যদি এ ধরণের অভিযোগ করে থাকেন না জেনে মিথ্যা বলতেছে। আমরা কোন পাসওয়ার্ড বা গোপন আইডিতে ঢুকার প্রশ্নই আসে না এবং সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলার বদলীকৃত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহমিদা আফরোজ বলেন, নামজারীর কাগজ পত্র ফাইনাল হওয়ার আগে আরও কয়েকটি টেবিল পার হয়ে আমার টেবিলে আসে, নিচ থেকে যদি হয়ে আসে সেখানে আমার কিছু করার থাকে না, যদি শুরু থেকে অনিয়ম হয়ে থাকে উপরে এসে ঠিক করা কঠিন হয়ে যায়। আমার কাছে কোন কাগজ নিয়ে কেউ অভিযোগ দিলে সাথে সাথে সেটা বাতিল করছি, উভয় পক্ষের অভিযোগ শুনেছি যুক্তিযুক্ত এবং কাগজ পত্র দেখে শুনে কাজ করার চেষ্টা করছি । যদিও ভুল হয়ে থাকে সেটা পরবর্তীতে সংশোধন করার সুযোগ আছে বলে তিনি দাবি করেন।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video