শনিবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২১, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
#
জাতীয় জাতীয়

ভালোবাসা হোক প্রতিদিনের প্রতিক্ষনের প্রতিমুহুর্তের

পৃথিবীর সুন্দরতম দিন, আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস

রতন বড়ুয়া
প্রকাশিত : বুধবার, ২০২৪ ফেব্রুয়ারী ১৪, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
#

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারী, ভালোবাসার দিন। বিশ্ব ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবস। ঋতুরাজ বসন্তের দ্বিতীয় দিনে ভালোবাসা দিবসে বাঙালি মনের ভালোবাসাও আজ হয় পবিত্র। ফুলে রাঙা আর বাসন্তি মোহে মুগ্ধ।

পৃথিবীর সুন্দরতম একটি দিন। যার অপেক্ষায় দীর্ঘ প্রহর গুণে প্রেমিক-প্রেমিকারা। ‘ভালোবাসা’ জীবনের সুন্দরতম এই উচ্চারণের শুদ্ধতম প্রকাশ ঘটে ওই দিন। প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাঙ্খিত মিলনে। অথচ এ প্রেমের কারণে রাজ্যহারা হয়েছেন কেউ কেউ। ত্যাগ করেছেন রাজসিংহাসন। মর্মর পাথরে গড়েছেন প্রেমের সৌধ- তাজমহল। আবার কেউ নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন অন্তহীন প্রানের আবেগে।

ভালোবাসা দিবসে যুগলদের মনের এই উ”ছ¡াসকে বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুণ। শুধু তরুন তরুনী নয়, নানা বয়সের মানুষ ভালোবাসার এই দিনে একসঙ্গে সময় কাটাবেন। দিনটি পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হলেও ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবসে বাঙালি মনের ভালোবাসাও যেন পায় নতুন রূপ।

এ ভালোবাসা শুধুই প্রেমিক আর প্রেমিকার জন্য নয়। মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, ভাইবোন, সনÍান এমনকি বন্ধুর জন্যও ভালোবাসার দিন ।
বিভিন্ন আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সারা দিন ঘোরাঘুরি করে কাটাবে ভালোবাসার মানুষগুলো। বিভিন্ন রঙের পোশাক আর সাজসজ্জায় ভালোবাসার দিনটি যেন বর্ণিল রঙে রঙিন করে তুলবেন ভালোবাসার মানুষগুলো।
এই বিশেষ দিনটিকে ঘিরে থাকবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পরিবারে কনসার্ট ।
কবি লেখক ও সাহিত্যিকদের কলমে উঠবে নতুন কোন লেখা আর গান। শুধু ভালোবাসা আর ভালোবাসা ।
এ সময়ে পাখিরা তাদের জুটি খুঁজে বাসা বাঁধে। নিরাভরণ বৃক্ষে কচি কিশলয় জেগে ওঠে। তীব্র সৌরভ ছড়িয়ে ফুল সৌন্দর্যবিভায়। পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হয়। এ দিনে চকোলেট, পারফিউম, গ্রিটিংস কার্ড, ই-মেইল, মুঠোফোনের এসএমএস-এমএমএসে প্রেমবার্তা, হীরার আংটি, প্রিয় পোশাক, জড়াজড়ি করা  বই ইত্যাদি চলে দেয়া নেয়া ।
একটা গোলাপ ফুল, চকোলেট, ক্যান্ডি, ছোট্ট চিঠি আর তাতে দুকলম লেখা থাকে হে প্রিয়তমা বা প্রিয়তম তোমাকে অনাবিল ভালোবাসা দিলাম ।  
ইতিহাসবিদদের মতে, দুটি প্রথা রোমান প্রথা থেকে এ উৎসবের সূত্রপাত। এক খ্রীস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ফাদার সেন্ট ভ্যালেনটাইনের নামানুসারে দিনটির নাম ‘ভ্যালেনটাইনস ডে’ করা হয়। ২৭০ খ্রীস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারী খ্রীস্টানবিরোধী রোমান সম্্রাট গথিকাস আহত সেনাদের চিকিৎসার অপরাধে সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে মৃত্যুদন্ড দেন। মৃত্যুর আগে ফাদার ভ্যালেনটাইন তার আদরের একমাত্র মেয়েকে একটি ছোট্ট চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি নাম সই করেছিলেন ‘ফ্রম ইওর ভ্যালেনটাইন’। সেন্ট ভ্যালেনটাইনের মেয়ে এবং তার প্রেমিক মিলে পরের বছর থেকে বাবার মৃত্যুর দিনটিকে ভ্যালেনটাইনস ডে হিসেবে পালন করা শুরু করেন। যুদ্ধে আহতদের সেবার অপরাধে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে ভালোবেসে দিনটি বিশেষভাবে পালন করার রীতি ক্রমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

ভ্যালেনটাইনস ডে সার্বজনীন হয়ে ওঠে প্রায় ৪০০ খ্রীস্টাব্দের দিকে। । সেন্ট ভ্যালেনটাইনের মৃত্যুর আগে প্রতি বছর রোমানরা ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করত ‘জুনো’ উৎসব। রোমান পুরানের বিয়ে ও সন্তান দেবী জুনোর নামানুসারে এর নামকরণ। এ দিন অবিবাহিত তরুনরা কাগজে নাম লিখে লটারির মাধ্যমে তার নাচের সঙ্গীকে বেছে নিত। ৪০০ খ্রীস্টাব্দের দিকে রোমানরা যখন খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীতে পরিণত হয় তখন ‘জুনো’ উৎসব আর সেন্ট ভ্যালেনটাইনের আত্মত্যাগের দিনটিকে একই সূত্রে গেঁথে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেনটাইনস ডে’ হিসেবে উদযাপন শুরু হয়। কালক্রমে এটি সমগ্র ইউরোপ এবং ইউরোপ থেকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
কবি মহাদেব সাহার তোমাকে ভুলতে চেয়ে আরো বেশি ভালোবেসে ফেলি’ কবিতায় উ”চারিত হয়-
‘তোমাকে ছাড়তে গিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে
আরো জড়িয়েছি
তোমাকে ভুলতে গিয়ে আরো
ভালোবেসেছি তোমাকে।‘
 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video