করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ভারত থেকে আরও ২৪০ জন বাংলোদেশি বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন।
বেনাপোলের হোটেলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় যশোর ও আশেপাশের জেলার হোটলগুলো অধিগ্রহণ করা হচ্ছে কোয়ারেন্টিনের জন্য।
যশোরের ডিসি তমিজুল ইসলাম খান বলেন, “ভারত থেকে যত লোক ফেরত আসার কথা আমরা চিন্তা করছিলাম, তার থেকে অনেক বেশি আসছে। বেনাপোলের হোটেলগুলো পূর্ণ হয়ে গেছে। ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীর দরগাহ এতিমখানা ও মাদরাসার ভবনও পূর্ণ হয়ে গেছে। সেখানে ২০২ জনকে রাখা হয়েছে। তাই যশোর ও আশেপাশের জেলার হোটলগুলো অধিগ্রহণ করা হচ্ছে কোয়ারেন্টিনের জন্য।”
এসব হোটেলে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান ডিসি।
জেলার নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) কেএম মামুনুর রশিদ জানান, এখন পর্যন্ত ১৬টি হোটেল রিকুইজিশন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে যশোরের হোটেল নয়নে ৩৭ জনকে, হাসান ইন্টারন্যাশনালে ৪৪, হোটেল ম্যাগপাইয়ে ১৭, আরএস হোটেলে সাত, হোটেল ম্যাক্সে ১১ এবং শেখ হাসিনা পার্কের ডরমেটরিতে ছয়জনকে রাখা হয়েছে।
এ হোটেলগুলোতে স্থান সংকুলান না হলে সাতক্ষীরা, খুলনা, ঝিনাইদহ এবং নড়াইল জেলার হোটেলগুলোতে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থাও চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সায়েমুজ্জামান জানান, শুক্রবার ২৪০ জন বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরিছেন। এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার এ সংখ্যা ছিল ২০১ জন।
যেসব স্থানে ভারতফেরত যাত্রীদের রাখা হয়েছে সেখানে নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। ১৪ দিন অবস্থানের পর করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ হলে তাদের বাড়িতে যেতে দেওয়া হবে বলে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেখ সালাউদ্দিন শিকদার জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন