মাত্র ১৮ বছর বয়সে ভালোবেসে বিয়ে করেন মিয়া খলিফা। কিন্তু কাকে বিয়ে করেছিলেন তার নাম আজও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে দীর্ঘদিনের পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে সংসার টেকেনি মিয়ার।

২০১৬ সালে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। শোনা যায় মিয়ার নেতিবাচক কর্মজীবনের ফলেই ভেঙে যায় তার প্রথম বিয়ে। এবার দ্বিতীয় সংসারও ভেঙে গেল মিয়া খলিফার।

২০১৯ সালে আবারও সুইডিশ শেফ রবার্ট স্যান্ডবার্গের প্রেমে পড়েন মিয়া। ততদিনে নিজের এলোমেলো জীবন ছেড়ে দিয়েছেন মিয়া, বেশ অনুতপ্ত এবং লজ্জিতও হয়েছেন তিনি। এমনকি পর্নোগ্রাফির নেতিবাচক দিক নিয়ে বেশ কয়েকবার কথাও বলেছিলেন সবার সামনে। বাগদত্তা রবার্টের সঙ্গে স্বাভাবিক এবং ভালোবাসাময় একটি জীবন কাটাতে চেয়েছিলেন।

করোনা মহামারিতে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান পিছিয়ে গেলে মিয়া বলেন, তিনি যদি বিয়ের জামা পরার আগেই মারা যান তাকে যেন সেই জামা পরিয়েই কবর দেওয়া হয়! এত ভালোবাসাও ধরে রাখতে পারল না মিয়ার দ্বিতীয় সংসার। গুঞ্জন ছিল লুকিয়ে আগেভাগেই বিয়ে সেরে ফেলেছিলেন রবার্ট আর মিয়া। সে খবর জানাজানি হওয়ার আগেই প্রকাশ্যে চলে এলো তাদের দুই বছরের বিয়ে বিচ্ছেদের খবর।

অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট জারি করে তারা জানিয়েছেন, 'দুজনে অনেক চেষ্টা করেও আমাদের বিয়ে টেকাতে পারলাম না, এক বছর ধরে আমরা বিভিন্ন থেরাপি নিয়েছি, কিন্তু অবশেষে বুঝতে পারলাম আমরা বন্ধু হয়েই ভালো থাকব, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা থেকে আমরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

মিয়া খলিফা এক সময় এডাল্ট ইন্ডাস্ট্রির তারকা হিসেবেই দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। বর্তমানে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মডেল হিসেবে কাজ করেন। টিকটকেও দেখা যায় এই লেবানিজ আমেরিকান মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে। ২০১৪ সালে পর্নোচিত্রে কাজ করার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। তবে রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে হওয়ায় এবং হিজাব পরিধান করায় অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় তাকে। অবশেষে ২০১৭ সালে এডাল্ট ইন্ডাস্ট্রি ত্যাগ করেন মিয়া। এরপর কিছুদিন প্যারালিগ্যাল এবং বুক কিপার হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। বর্তমানে মিয়া ক্রীড়া ভাষ্যকার হিসেবে কাজ করেছেন।