শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতের বাহনই এখন আতঙ্ক ও ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে ছিনতাই ও পাথর নিক্ষেপের ঘটনা নিয়মিত। এর মধ্যে আড়াই মাসে দুবার ঘটেছে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে দাবি রেলওয়ে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
শাটল ট্রেনে করে সবুজে ঘেরা মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে শিক্ষার্থীরা যান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। নগর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ২২ কিলোমিটার দূরে। তাই শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম শাটল ট্রেন। এখন এই শাটল ট্রেন শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । ট্রেনে চলাচল করতে গিয়ে গত আড়াই মাসে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে দুবার। গত ২৮ জুন বটতলী এলাকায় এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়।
এ ঘটনায় বাবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল শহরে আসার পথে দুই বহিরাগত যুবক ধর্ষণের চেষ্টা করে আরেক ছাত্রীকে। কিন্তু আড়াই মাসে আটক হয়নি কেউ। এছাড়া পাথর নিক্ষেপ ও ছিনতাইয়ের ঘটনা অহরহ ঘটছে। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত। তারা বলেন, মেয়েরা সবচেয়ে বেশি নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। এছাড়া পাথর ছুড়ে মারা হচ্ছে। মোবাইল ফোন হাত থেকে নিয়ে যায়। বহিরাগতরা যেন ট্রেনে উঠতে না পারে, সেটা দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
এসব ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে নিজেদের দায় এড়িয়ে রেলওয়ে পুলিশকে সতর্ক হওয়ার দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। প্রক্টর ড. রবিউল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘রেলওয়ে পুলিশ আমাদের নির্ভয় দিয়েছে ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সে জায়গা থেকে তারা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে।’ রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘এখন কে ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ট্রেনে ওঠে, তা বলা মুশকিল।’
যেকোনো ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি রেলওয়ে পুলিশের। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, ‘নিরাপত্তামূলক যে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার আমরা কিন্তু তা করেছি।’
চট্টগ্রাম শহর ও ক্যাম্পাসে প্রতিদিন সাত জোড়া ট্রেন চলাচল করে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ২৭ হাজার।
মন্তব্য করুন