ঘড়ির কাঁটা আড়াইটার ঘরে। সেহেরির সাইরেন বাজছে।
তখনো নারী-পুরুষসহ নানা বয়সী ক্রেতার ভিড়। করোনার দুই বছর পর ঈদবাজারের চিরচেনা দৃশ্য ফিরে এলো আবার। এতে লাভের মুখ দেখার আশায় খুশি ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের তামাকুমণ্ডি লেনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
তামাকুমণ্ডি লেনে শতাধিক ভবনে (মার্কেট) প্রায় দেড় হাজার দোকান আছে। শার্ট, প্যান্ট, প্রসাধন, পাঞ্জাবি, জুতো, তৈরি পোশাক থেকে শুরু করে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের পণ্যসামগ্রী পাওয়া যায়। পাইকারি দোকানের পাশাপাশি প্রচুর খুচরা দোকানও রয়েছে এখানে। দরকষাকষি করে পছন্দের পণ্যটি কিনতে পারায় ফ্যাশন সচেতন তরুণদের বেশ পছন্দ এসব দোকান।
জিন্সের প্যান্ট ও ফ্যাশনেবল শার্ট বিক্রি করেন সাতকানিয়ার আবু সৈয়দ। বেচাকেনা কেমন চলছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তরুণরা আসছে শার্ট প্যান্ট পছন্দ করছে। বলতে গেলে এখনো দেখাদেখি পর্যায়ে। চাকরিজীবীরা ঈদ বোনাস পেলেই কেনাকাটা জমবে আশাকরি।
তামাকুমণ্ডি লেন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমদ কবির দুলাল বলেন, তামাকুমণ্ডি লেনে শতাধিক মার্কেটে দেড় হাজারের বেশি পাইকারি-খুচরা দোকান রয়েছে। ঈদের কেনাকাটার সুবিধার্থে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন শুক্রবারও মার্কেট খোলা রাখছি আমরা। এখন সেহেরি পর্যন্ত কাপড়, জুতাসহ ঈদবাজারের দোকানগুলো খোলা থাকছে। নিরাপত্তার জন্য ৩০ জন নতুন সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দারোয়ান আছে ১০ জন। রয়েছে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিও।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, করোনার কারণে দুই বছর বলতে গেলে ব্যবসায়ীরা লোকসান দিয়েছেন। এবার ক্রেতাসমাগম ও বেচাকেনা ভালো। তবে ফুটপাত ও প্রধান সড়কে হকারের কারণে ক্রেতারা নির্বিঘ্নে তামাকুমণ্ডি লেনে প্রবেশে সমস্যা হচ্ছে। অলিগলির মুখ পর্যন্ত হকারদের দখলে চলে গেছে। দোকানিরা সালামি, ভ্যাট, ট্যাক্স দিলেও হকাররা শুধু চাঁদাই দিয়ে থাকে।
সূত্র: বাংলানিউজ
মন্তব্য করুন