জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় বুধবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী ও ডবলমুরিং থানায়মম এলাকায় তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
সকাল ১১টা হতে পরিচালিত অভিযানে ৯ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ১ লাখ ৫ হাজার প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, জেলি দেয়া চিংড়ি মাছ ও অননুমোদিত সস ধ্বংস করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ্, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
খুলশি থানার ঝাউতলা বাজারের পাহাড়িকা স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মেয়াদোত্তীর্ণ শিশুখাদ্য ধ্বংস করা হয়। নিত্যপণ্যের পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় আল আজাদ স্টোরকে ৩ হাজার টাকা, মীম অ্যান্ড মুন চিকেন হাউসকে ৫ হাজার টাকা, মনির রাইস মিলকে ৪ হাজার টাকা, কাজী স্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
ঝাউতলা মাছ বাজারের ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজকে জেলিযুক্ত (সিলিকা জেল পুশ করা) চিংড়ি মাছ বিক্রি করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে চিংড়ি মাছগুলো ধ্বংস করা হয়।
ডবলমুরিং থানার বাদামতলী মোড়ের আয়োজন রেস্তোরাঁ অ্যান্ড বিরানি হাউসকে অননুমোদিত সস ব্যবহার, উৎপাদন ও মেয়াদ বিহীন দই ব্যবহার, কিচেনে কর্মীদের ব্যবহার্য কাপড়-চোপড় ঝুলিয়ে রাখা, রান্না করা খাবার খোলা অবস্থায় রাখা এবং নোংরা স্থানে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন করায় ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সসগুলো ধ্বংস করা হয়।
মেজ্জান হাইলে আইয়ুন রেস্তোরাঁকে কিচেনে খোলা ডাস্টবিন রাখায় ৫ হাজার টাকা, সাদিয়া’স কিচেনকে কিচেনে খোলা ডাস্টবিন রাখা ও রান্নাঘরে তেলাপোকা থাকায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
মন্তব্য করুন