একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসবে তাদেরকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ বুধবার (৩০ মার্চ) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে প্রতীকী গণঅনশন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঐকমত্যের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসবে, সকলকে নিয়ে যারা এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষে, যারা গণতন্ত্রের পক্ষে, স্বাধীন বিচার বিভাগ আইনের পক্ষে, যারা স্বাধীনতার পক্ষে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে, জীবনের নিরাপত্তার পক্ষে, সাংবিধানিক স্বাধীনতার পক্ষে, মানবাধিকারের পক্ষে, দুর্নীতির বিপক্ষে, তাদেরকে নিয়ে একটি সরকার গঠন করা হবে।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, তার আগে আরেকটি কাজ আছে, জাতীয় সরকারের দাবি পূরণ করা হবে। যারা জাতীয় সরকারের কথা ভাবছেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে না। তারাও কিন্তু সরকার পতন চায়, তারাও গণতন্ত্র, ভোটাধিকার চায়। সুতরাং কোনো বিভ্রান্তি নাই। জাতীয় সরকার অবশ্যই গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, সকলের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে। এটা হবে নির্বাচনে জয়ী হবার পর। যারা জয়ী হবে না, গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে তারাও জাতীয় সরকারে থাকবে। সকলে তো আর নির্বাচিত হবে না, কিন্তু গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে তাদেরকেও এই জাতীয় সরকারে আনা হবে। এর আগে কাজ হবে, এই জাতীয় সরকার রাষ্ট্র মেরামত করতে গিয়ে যে পরিবর্তনগুলো আনবে, সেই পরিবর্তনগুলো বিএনপি জাতির সামনে তুলে ধরবে।
খসরু বলেন, আওয়ামী চাঁদাবাজির কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নেই। বর্তমান সরকারের পতন ছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। আর সরকার পতনের জন্য বিএনপি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তা হচ্ছে, জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সমস্ত দলমত নির্বিশেষে সকলকে এক জায়গায় আসতে হবে। ঐক্যমত পোষণ করতে হবে সরকার পতনের ব্যাপারে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতীয় সরকার বললে তো হবে না, নির্বাচনে জয়ী হবার পর যেই যেই পরিবর্তন তারা আনবে, সেগুলো জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে জনগণের সামনে তুলে ধরব। তাদের কাছে পরিষ্কার করে তুলে ধরা হবে। রাজপথে থেকে বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে হবে। পতন ঘটাবে বিএনপি।
মন্তব্য করুন