নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি প্রকাশিত : সোমবার, ২০২১ মার্চ ০১, ০২:৫২ অপরাহ্ন
#
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৬০তম (অধিবর্ষে ৬১তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা,বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
ঘটনাবলি
১৯০১ : অস্ট্রেলিয়ান সেনাবাহিনী গঠিত হয়।
১৯১২ : আলবার্ট বেরী, প্রথম উড্ডীয়মান বিমান থেকে প্যারাসুটে নামেন।
জন্ম
১৯০৩ : বিষ্ণুপদ মুখোপাধ্যায়,ভারতে ভেষজ সংস্কারের অন্যতম উদ্যোক্তা।
১৯০৭ : মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ,সাংবাদিক ও লেখক।
১৯২৭ : আশরাফ সিদ্দিকী,বাংলাদেশি সাহিত্যিক,লোকগবেষক ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক।
১৯৬৫ : মতিউর রহমান মল্লিক,বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক।
মৃত্যু
১৯২৪ : গোপীনাথ সাহা,ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বাঙালি বিপ্লবী।
১৯৪৩ : আলেকজেন্ডার ইরসিন,ফ্রান্স-সুইস চিকিৎসক ও ব্যাকটেরিওলজিস্ট এবং ইরসিনিয়া পেস্টিস-এর আবিষ্কারক।
২০১৯ : পলান সরকার,বাংলাদেশি সমাজকর্মী।
আলোর ফেরিওয়ালা পলান সরকার
পলান সরকার ছিলেন সমাজকর্মী, বইপ্রেমী এক সাদা মনের মানুষ। নিজের টাকায় বই কিনে পাঠকের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে বই পড়ার একটি আন্দোলন গড়ে তোলার জন্যে তিনি ২০১১ সালে একুশে পদক পান। রাজশাহী জেলা পরিষদ পলান সরকারের বাড়ির আঙিনায় একটি পাঠাগার করে দেয়।২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ‘ইমপ্যাক্ট জার্নালিজম ডে’ উপলক্ষে বিশ্বের ভিন্ন ভাষার প্রধান প্রধান দৈনিকে একযোগে পলান সরকারের বই পড়ার এই আন্দোলনের গল্প ছাপা হয়।সারা দেশে তাকে বহুবার সংবর্ধনা দেওয়া হয়।তাকে নিয়ে ‘সায়াহ্নে সূর্যোদয়’ নামে একটি নাটক তৈরি হয়েছে। চ্যানেল আই নাটকটি প্রচার করে। শিক্ষা বিস্তারের অনন্য আন্দোলন গড়ে তোলায় ইউনিলিভার বাংলাদেশ পলান সরকারকে ‘সাদা মনের মানুষ’ খেতাবে ভূষিত করে।
পলান সরকারের জন্ম ১৯২১ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশের নাটোরের বাগাতিপাড়ায়। তার আসল নাম হারেজ উদ্দিন। মা ডাকতেন পলান নামে। তিনি পরিচিত পলান সরকার নামে। জন্মের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় বাবা মারা যান। টাকাপয়সার টানাটানির কারণে প্রাথমিকের পরে আর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেননি। তবে নিজের চেষ্টাতেই বইপড়া চালিয়ে যান। তার বই পড়া কখনও থামেনি।
স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ছিলেন পলান সরকার। তিনি ছিলেন বইপাগল মানুষ। প্রতিবছর স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যারা ১ থেকে ১০ এর মধ্যে মেধা তালিকায় স্থান পাবে,তাদের তিনি একটি করে বই উপহার দিতেন। এখান থেকেই শুরু হয় তার বই বিলির অভিযান। এরপরে তিনি সবাইকে বই দিতেন। একটানা ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে করেছেন এই কাজ। রাজশাহী অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামজুড়ে তিনি গড়ে তুলেছেন বই পড়ার এক অভিনব আন্দোলন।
১৯৯২ সালে ডায়াবেটিস ধরা পড়লে নিয়ম করে হাঁটা শুরু করেন তিনি। তার সঙ্গেই তিনি যোগ করে নেন বই বিলি করার বিষয়টি। প্রতিদিন সকালে পায়ে হেঁটে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বাড়ি বাড়ি নতুন বই দেওয়া আর পুরনো বই ফেরত নেওয়া শুরু করেন তিনি। শুরুতে তার এই আন্দোলনের কথা রাজশাহীর কয়েকটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও ২০০৬ সালে বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে পলান সরকারের নাম ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। পলান সরকার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন,যতদিন হাঁটতে পারবেন,সমাজ বদলের এই আন্দোলন তিনি চালিয়ে যেতে চান।
বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন পলান সরকার। ২০১৯ সালের ১ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন বইপ্রেমী এই মানুষটি।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মন্তব্য করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
প্রায় ২ মাস বন্ধ থাকার পর ফের চালু হয়েছে কেপিএম মিল
১
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিরহামসহ যাত্রী আটক
২
নাজিরহাট কলেজে ২০২৪-২০২৫ইং শিক্ষাবর্ষ শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ও নবীন বরণ
৩
অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের ভাষণের পূর্ণ বিবরণ
৪
রাউজান নোয়াপাড়ায় হক কমিটির শাখা কমিটি গঠনকল্পে মতবিনিময়
৫
বন্যা দুর্গত দুই হাজারের অধিক পরিবারে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পল্লী মঙ্গল কর্মসূচির খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
মন্তব্য করুন