মঙ্গলবার, ২০২৫ আগস্ট ২৬, ১০ ভাদ্র ১৪৩২
#
আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক

রুশ বিমান আটকে দেবে যুক্তরাজ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : বুধবার, ২০২২ মার্চ ০৯, ০২:২৯ অপরাহ্ন
#

ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়ার বিমান ও মহাকাশ প্রযুক্তির ওপর নতুন কিছু নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। এতে এখন থেকে যুক্তরাজ্যে থাকা রাশিয়ার বিমান আটকে দিতে পারবে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

নতুন নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন হওয়ার পর থেকে যুক্তরাজ্যে রাশিয়ার কোনো বিমানের প্রবেশ, অবতরণ বা চলাচল অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়া ও ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠরা আরও বেশি অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়বেন।

বিবিসি নিউজনাইট রাজনৈতিক সম্পাদক নিক ওয়াট বলেছেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বিমান এ নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু নয়, কারণ আগেই সে দেশের বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

কিন্তু এর ফলে রাশিয়ার প্রাইভেট জেট বিমানগুলোকে লক্ষ্য করা হবে, যেগুলো তৃতীয় কোন দেশে তালিকাভুক্ত এবং রাশিয়ান ধনকুবেররা ব্যবহার করেন।


এদিকে দুদিনেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রধান উইলিয়াম বার্নস এমন দাবি করেছেন।

কংগ্রেসের এক শুনানিতে অংশ নিয়ে আইনপ্রণেতাদের তিনি বলেন, আমি মনে করি, পুতিন বর্তমানে ক্ষুব্ধ ও হতাশ। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে গুঁড়িয়ে দিতে তিনি আরও জোরদার অভিযান চালাবেন। এতে বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি ঘটলেও তার কিছু যায় আসে না।

বার্নস বলেন, পুতিনের বহু বছর ধরে লালিত দুঃখ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিস্ফোরণ ঘটেছে। ইউক্রেনের নেতাদের গভীর ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।

সৌদি আরব ও সংযুক্ত আমিরাতের নেতাদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একটি ফোনালাপের চেষ্টা করা হলেও তাতে ব্যর্থ হয়েছে হোয়াইট হাউস। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।


এমন এক সময় ঘটনাটি ঘটেছে, যখন ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন গড়তে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে বিশ্ববাজারে তেলের দামও রেকর্ড গড়ে বেড়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য ও মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাইডেনের সঙ্গে আলাপ করতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও আমিরাতের শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানকে অনুরোধ করা হলে তারা তা প্রত্যাখ্যান করেন।

ইয়েমেনের যুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন হস্তক্ষেপে আরও সমর্থন চাচ্ছে রিয়াদ। এ ছাড়া বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচিসহ এমবিএসখ্যাত যুবরাজকে আইনগত নিষ্কৃতি দাবি করছেন সৌদি কর্তৃপক্ষ।

আমেরিকায় মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তানবুলে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার ঘটনায় মার্কিন গোয়েন্দারা যুবরাজকে দায়ী করেছেন।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video