বুধবার, ২০২৫ মে ০৭, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২
#
আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক

সামরিক শক্তিতে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র, তারপরেই রাশিয়া-চীন

নিউজ ডেস্ক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : রবিবার, ২০২২ জানুয়ারী ৩০, ০৪:২০ অপরাহ্ন
#

সামরিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তার পরই অবস্থান রাশিয়ার। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। সামরিক শক্তির ভিত্তিতে প্রতি বছর র‍্যাংকিং করা প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার’ এ তথ্য জানিয়েছে।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স ২০২২ অনুযায়ী, প্রতি বছরের মতো এ বছরও সূচকটির শীর্ষে, অর্থাৎ সবচেয়ে সামরিক শক্তিধর দেশ হিসেবে  যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান ধরে রেখেছে। এর পরের অবস্থানগুলোতে যথাক্রমে রয়েছে, রাশিয়া, চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, পাকিস্তান ও ব্রাজিল। শীর্ষ ১০ এর বাইরে, দক্ষিণ এশিয়া ও এর আশপাশের দেশগুলোর মধ্যে, মিয়ানমার ৩৯, বাংলাদেশ ৪৬, শ্রীলঙ্কা ৭৯, আফগানিস্তান ১১৮ ও নেপাল ১১৯তম অবস্থানে রয়েছে। তালিকার শেষ দেশ হিসেবে, অর্থাৎ ১৪০তম অবস্থানে রয়েছে ভুটান।

প্রতি বছর মোট ৪৭টি ক্যাটাগরিতে, আলাদা আলাদাভাবে দেশগুলোর সক্ষমতা ও  র‍্যাংকিং করে থাকে 'গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার'। এগুলোর মধ্যে মোট জনসংখ্যা, সৈন্য, সামরিক সরঞ্জামের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। প্রতিরক্ষা ব্যয়ের হিসাবেও সবচেয়ে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এ বছর প্রতিরক্ষা খাতে ৭৭ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করবে, যা শীর্ষ দশ দেশের মোট সামরিক ব্যয়ের অর্ধেকেরও বেশি। শুধু ব্যয়ের দিক দিয়েই যে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে, তা নয়। এই ৪৭টি ক্যাটাগরির মধ্যে ১৮ টিতেই আবার যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে । আর চীন শীর্ষে রয়েছে ১১টি ক্যাটাগরিতে।

সামরিক ব্যয়ের মতোই আরেকটি যে ক্যাটাগরিতে যুক্তরাষ্ট্র একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে। সেটি হলো বিমানবাহী রণতরী বা এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার এর সংখ্যার দিক দিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের মোট ১১টি ক্যারিয়ার রয়েছে। আর বিশ্বে মোট ক্যারিয়ারের সংখ্যা হলো মাত্র ২১টি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারিয়ারগুলো আবার প্রত্যেকটিই সুপার ক্যারিয়ার, অর্থাৎ যেগুলো আকৃতিতে বিশাল ও অনেক বেশি যুদ্ধবিমান বহন করতে পারে। অন্য আর কোনো দেশেরই একটিও সুপার ক্যারিয়ার নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সুপার ক্যারিয়ারগুলোর একটি অংশ, সার্বক্ষণিক বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মোতায়েন থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমানের মধ্যে আবার ট্যাংকার বিমান রয়েছে ৬২৭টি। এই বিমানগুলো আকাশপথেই, অন্য বিমানকে চলন্ত অবস্থায়, জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে সক্ষম। এর ফলে যে কোন বিমান, জ্বালানির জন্য অবতরণ করা ছাড়াই, আকাশে থাকতে পারে।

১৩৬টি উন্নত ও কম উন্নত দেশের মধ্যে চালানো এ জরিপে দেশগুলোর ভৌগোলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক সম্পদনির্ভরতা, মানবসম্পদ ও চলমান অর্থনৈতিক চিত্রসহ বিবেচনা করা হয়। তবে পারমাণবিক ক্ষমতা এবং বর্তমান রাজনৈতিক বা সামরিক নেতৃত্বকে এ হিসাবে ধরা হয়নি।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১২ লাখ ৮১ হাজার ৯০০ জন। রিজার্ভ আছে ৮ লাখ ১ হাজার ২০০ সৈন্য। যুদ্ধবিমান ১৩ হাজার ৩৬২টি, ট্যাংক ৫ হাজার ৮৮৪টি, যুদ্ধজাহাজ ৪১৫টি।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়ার সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১০ লাখ ১৩ হাজার ৬২৮ জন। রিজার্ভ আছে ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ সৈন্য। যুদ্ধবিমান ৩ হাজার ৯১৪টি, ট্যাংক ২০ হাজার ৩০০টি, যুদ্ধজাহাজ ৩৫২টি।
চীনের সক্রিয় সৈন্য ২১ লাখ ৮৩ হাজার জন। রিজার্ভ আছে ৫ লাখ ১০ হাজার। যুদ্ধবিমান ৩ হাজার ৩৫টি, ট্যাংক ৭ হাজার ৭১৬টি ও যুদ্ধজাহাজ ৭১৪টি।

ভারতের সক্রিয় সৈন্য ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ জন। রিজার্ভ আছে ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫০ জন। যুদ্ধবিমান ২ হাজার ১৮৫টি, ট্যাংক ৪ হাজার ৪২৬টি ও যুদ্ধজাহাজ ২৯৫টি। ফ্রান্সের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ২ লাখ ৫ হাজার। রিজার্ভ আছে এক লাখ ৮৩ হাজার ৬৩৫ জন। যুদ্ধবিমান ১ হাজার ২৬২টি, ট্যাংক ৪০৬টি ও যুদ্ধজাহাজ ১১৮টি।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video