শনিবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২১, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
#
জাতীয় জাতীয়

কাল থেকে চলবে গণপরিবহন

নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : বুধবার, ২০২১ মে ০৫, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন
#
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধ চলমান থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে গণপরিবহন চলবে, তবে সেটা শহরের ভেতরে। আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি মিললেও বাস মালিকরা সরকারের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা পাননি। বলে জানান এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গণপরিবহন বন্ধ রাখার পক্ষেও নন তারা। এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘সরকার যেভাবে নির্দেশনা দেবে আমরা সেভাবেই বাস চালাব’। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যাত্রীবাহী বাস কীভাবে চলবে তা স্পষ্ট করে শিগগির প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এরপরই বলা যাবে কোন কোন রুটে, কীভাবে গণপরিবহন চলবে’। বিআরটিএ সূত্র জানায়, প্রজ্ঞাপনে বাস চলাচলের সব নির্দেশনা দেওয়া হবে। যার মধ্যে প্রথমেই থাকছে সিটি সার্ভিস ও জেলার বাস সার্ভিস। অন্য জেলায় প্রবেশ করতে না পারার বিষয়টি। এ ছাড়া বাস ছাড়ার আগে পুরো বাসে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। যাত্রী, বাসচালক ও সহকারীকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক সিট খালি রেখে গণপরিবহন চালাতে হবে। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকেদের মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে আগামী ৬ মে থেকে জেলার ভেতরে গণপরিবহন চলবে। তবে গণপরিবহন জেলার ভেতরে চলাচল করতে পারবে। আন্তজেলা চলাচল করবে না। তিনি বলেন, মালিক সমিতি আমাদের কথা দিয়েছে, কোনোভাবে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করা হবে না। তাহলে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এটা আমরা দেখব। লঞ্চ এবং ট্রেন বন্ধ থাকবে। যেহেতু ওগুলো এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যায়। সুতরাং বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চেীধুরী বলেন, ‘পাশের দেশ ভারত ও আমাদের দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে আমি মনে করি এই মুহূর্তে গণপরিবহন খুলে দেওয়া হবে একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। কেননা প্রতি বছর ঈদে বাড়ির যাওয়ার জন্য লাখো মানুষের ঢল নামে। ভয়াবহ ভাবে গাদাগাদি করে বাস, লঞ্চ, রেলের ঈদযাত্রার অতীতের চিত্র আমাদের সবার সামনে রয়েছে। এতে কোনোভাবে গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাবে না। তিনি বলেন, সরকারের উচিত প্রয়োজনে পরিবহন শ্রমিকদের নগদ ও ত্রাণ সহায়তা দেওয়া এবং পরিবহন মালিকদের প্রণোদনা দেওয়া। এতে করে পরিস্থিতি উন্নতি হলে ঈদের পর ধীরে ধীরে পরিবহন চালু করা যেতে পারে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন দেশ বলেন, ‘ইদের আগে গণপরিবহন চালু হলেও শ্রমিকদের কোনো লাভ হবে না। কারণ এখন আন্তঃপরিবহন না চললে, শুধু সিটিতে চললে যাত্রী পাওয়া যাবে না। তাই করোনায় মানবেতর জীবন-যাপন করা শ্রমিকদের জন্য পরিবহন মালিকদের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে ,তারা যেন অন্তত গাড়ি চলাচল করলে শ্রমিকদের এক মাসের যে-যেমন টাকা পেত সে পরিমাণ টাকা ও বোনাস দিলে ভালোভাবে পরিবার নিয়ে শ্রমিকরা ইদ করতে পারবে’।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video