পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ফেরত পেয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ১৪ জন গ্রাহক।
এসএসএল সার্ভিসের মাধ্যমে পেমেন্ট করা ১৪টি লেনদেনের প্রেক্ষিতে প্রথম ধাপে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৬৭ টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ইভ্যালি রিফান্ড কার্যক্রম শুরু করেছে। ধাপে ধাপে বিকাশ, নগদ ও এসএসএল-এ আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের রিফান্ড করা হবে।
ইভ্যালির সবচেয়ে বেশি ১৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আটকে আছে নগদে। এছাড়া বিকাশে ৪ কোটি ৯১ লাখ ও এসএসএল-এ আছে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আরও কিছু টাকা আছে বিভিন্ন সার্ভিসে; তবে সেটির পরিমাণ খুবই কম বলে জানা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী জানান, প্রথম ধাপে এসএসএলের মাধ্যমে কিছু টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে নগদে আটকে থাকা দেড় কোটি টাকার একটি বড় পেমেন্ট রিফান্ড করা হবে।
২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে এস্ক্রো নীতিমালা কার্যকর হয়। এরপর গ্রাহক পণ্য ক্রয়ের জন্য পেমেন্ট গেটওয়েতে টাকা জমা দেয়ার পর তা বুঝে পেলে সেই টাকা পেমেন্ট গেটওয়ে থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে জমা হতো।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার হন ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। রাসেল এখনও কারাগারে থাকলেও, জামিনে বের হয়ে পুনরায় ইভ্যালির চেয়ারম্যান পদে বসেন শামীমা নাসরিন।
এক বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের অক্টোবরে ফের চালু হয় ইভ্যালি।
মন্তব্য করুন