শনিবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২১, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
#
জাতীয় জাতীয়

পটিয়ার দন্ডপ্রাপ্ত শিক্ষিকার খুঁটির জোর কোথায়!

পটিয়ার দন্ডপ্রাপ্ত শিক্ষিকার খুঁটির জোর কোথায়!


প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২০২৪ ফেব্রুয়ারী ১৩, ০২:২৭ অপরাহ্ন
#

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হিলচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দন্ডপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আরা বেগমের খুঁটির জোর কোথায়? এমন প্রশ্ন  সচেতন এলাকাবাসীর। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। তারপরও হিলচিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে বহাল তবিয়তে আছেন নানা কারনে সমালোচিত প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আরা বেগম। 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক বিভাগীয় মামলার এক রায়ে তার বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। 

 

জানা যায়, গত আগস্ট হিলচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আরা বেগমের  বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধে বিভাগীয় মামলা নং ১১/২৩ রুজু করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ০১ (এক) বছরের জন্য ০১ টি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করে তাকেলঘুদন্ড' প্রদান করা হয়। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, নামমাত্র বেতনে কোন প্রকার নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই পটিয়ার প্রত্যন্ত এলাকা লাওয়ারখীল বেসরকারি বানেস্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ফেরদৌস আরা বেগম শিক্ষকতা শুরু করেন। এক সময় এই বিদ্যালয়ে ১০/১৫ জন ছাত্রছাত্রী ছিল। তখন ৫০০/১০০০ টাকা বেতনে কেউ / বছরের বেশি এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতনা। একটানা স্কুলে থেকে যাওয়ায় কয় কবার পরীক্ষা দিয়ে  কোন রকমে এইচএসসি পাস করা ফেরদৌস আরা বেগম হয়েযান এই বিদ্যালয়ের পুরাতন শিক্ষক। সেসুবাধে কোন পরীক্ষা ছাড়াই তিনি বনেযান বানেস্বর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া সরকার ২০১৩ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যে যে অবস্থায় আছে সে সে অবস্থায় সরকারি করন করলে কপাল খুলে যায় ফেরদৌস আরা বেগমের। সরকারি হওয়ার পর তিনি পটিয়ার সাবেক এমপি হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর খালেদের ছত্রছায়ায় তদবির করে বদলি হয়ে চলে আসেন নিজ গ্রামের হিলচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। হিলচিয়া স্কুলে যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে একাডেমিক অদক্ষতা, আর্থিক অনিয়ম, অসদাচরণ,ভর্তি পরীক্ষার ফি' নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া এবং সময়মত নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়া সহ একাধিক অভিযোগ পাওয়া যায়। ইংরেজি গণিত বিষয়ে পাঠদানে অক্ষম ফেরদৌস আরা বেগমের নিজের হাতের লাইনের একটি বাংলা লেখায় সবকটি বাক্য অশুদ্ধ প্রায় ১০ টি বানান ভুল করেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি অভিভাবকরা তাকে বদলি করার জন্য বারবার বিভিন্ন অভিযোগ দিলেও পটিয়ার সাবেক এমপি সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী,দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরোধিতাকারী নেতা আলমগীর খালেদ  প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে তিনি বহাল তবিয়তে রয়ে যান।

বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি হওয়ায় তার স্বামী নুরুল ইসলামের সাথে তিনি সামাজিক বিভিন্ন গ্রুপিংয়ের সাথে নিজেও জড়িয়ে পড়েন। মাঠের মাঝখানে খুঁটি গেঁড়ে স্কুলের সম্পত্তি বেদখল করার কাজে তিনি তার স্বামী নুরুল ইসলামকে সহায়তা করেন। এই ঘটনায় তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ছাঁদ ঢালাই কাজের দিন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা,সভাপতি সহ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্য উপস্থিত থাকলেও তিনি ছিলেন  অনুপস্থিত। সেদিনই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের একটি খাতায় তার দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি লিপিবদ্ধ করেন। 

 

প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আরা বেগমের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি একাধিক লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলা উদ্দিনকে

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video