শনিবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২১, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
#
জাতীয় জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজের ৪ মাসেও সন্ধান মেলেনি ৮ মাঝিমাল্লাসহ ফিশিং বোটের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঁশখালী
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২০২৪ ফেব্রুয়ারী ২৯, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
#

 

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে মাঝিমাল্লাসহ নিখোঁজ হওয়ার প্রায় মাসেও দূর্ঘটনা কবলিত আল্লাহর দান ফিশিং বোট মাঝিমাল্লাদের সন্ধান মেলেনি। এতে উৎকণ্ঠায় রয়েছে নিখোঁজ হওয়া মাঝিমাল্লাদের পরিবার স্বজনরা। জানা যায়, গত ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে ঘূর্ণিঝড় মিথিলির সময় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউপির ইসহাক বহদ্দারের মালিকনাধীন আল্লাহ দান ফিশিং বোট নামে একটি ফিশিং ট্রলার ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে বাগেরহাট সুন্দরবন দুবলার চর এলাকা থেকে জন মাঝিমাল্লাসহ দূর্ঘটনার শিকার হয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ হওয়া ওই ফিশিং বোট মাঝিমাল্লাদের অদ্যবদি পর্যন্ত কোন সন্ধান মেলেনি। এতে উদ্বিগ্ন নিখোঁজ মাঝিমাল্লাদের পরিবার স্বজনরা।

এছাড়াও ওই ঘূর্ণিঝড়ের সময় শেখেরখীলের আবুল কালাম প্রঃ (আবু বহদ্দারের) একটি ফিশিং বোট থেকেও জেলে সাগরে পড়ে যাওয়া,তাদের মধ্যে চকরিয়ার হরনাথ দাশ নামে একজনকে ভারতীয় নৌবাহিনীরা জীবিত উদ্ধার করে পরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বরাবর হস্তান্তরের মাধ্যমে পরিবারের কাছে ফিরে আসলেও বাঁশখালীর শেখেরখীল ইউপির লালজীবন এলাকার ইসলাম মিয়ার ছেলে নুরুল আবছার নামে জেলের সন্ধানও পাওয়া যায়নি। দূর্ঘটনা কবলিত দুই ফিশিং বোটের মোট জন মাঝিমাল্লা আল্লাহর দান নামে ফিশিং বোটের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বোট মালিক ইসহাক বহদ্দার।

ইসহাক বহদ্দারের মালিকনাধীন বোটসহ নিখোঁজ হওয়া জন মাঝিমাল্লারা হলেন, বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ইউপির ইসলাম মিয়ার ছেলে মোঃ বাদশা মিয়া, পুঁইছড়ির মৌলারপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে আবুল কাশেম, আব্দুল করিমের ছেলে মোঃ নেছার উদ্দিন, সাতকানিয়া উপজেলার আমিলিশ গ্রামের করিম আকন এর ছেলে মোঃ কালু, হরিসন্ন দাশের ছেলে হরি রঞ্জন দাশ, একই উপজেলার ফাইসা আলী এলাকার হামিনি জলদাশের ছেলে সুদানসু জলদাশ, চট্টগ্রাম শহরস্থ নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ কামাল উদ্দিন, কক্সবাজারের জেলার চকরিয়ার টইটং বাজার এলাকার সেনায়ত আলীর পুত্র মোঃ আমির হোসেনসহ সর্বমোট জন জেলেসহ নিখোঁজ হওয়া আল্লাহর দান নামে ফিশিং বোটটির সন্ধান প্রায় মাসেও মেলেনি।

 

এবিষয়ে ইসহাক বহদ্দার জানান, গত ১৭ নভেম্বর ২৩ ইং তারিখে ঘূর্ণিঝড় মিথিলির আঘাতে  আল্লাহর দান নামে আমার একটি ফিশিং বোট দূর্ঘটনার শিকার হয়। এতে ১৪ জন মাঝিমাল্লারা ছিলো, ঘটনার পরপর আবু বহদ্দারের একটি ফিশিং বোট জনকে জীবিত উদ্ধার করলেও অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও অদ্যবদি পর্যন্ত আরো জন মাঝিমাল্লাসহ নিখোঁজ বোটটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। আবুল কালাম প্রঃ আবু বহদ্দার বলেন, ওই দূর্ঘটনার সময় তার বোট থেকেও জন লোক সাগরে পড়ে যায়, এদের একজনকে ভারতীয় সেনাবাহিনীরা জীবিত উদ্ধার করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করায় বাড়ী ফিরে আসলেও নুরুল আবছার নামে একজনকে এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

 

শেখেরখীল ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা মোর্শেদুল ইসলাম ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাম্প্রতিকে সুন্দরবনের দুবলার চর এলাকা থেকে মাঝিমাল্লাসহ আমার এলাকার একটি ফিশিং বোট নিখোঁজের খবরটি আমাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সুত্রে জানতে পেরেছিলাম। ওই ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া মাঝিমাল্লাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পঁচেগলে যাওয়ায় দুবলার চর এলাকায় দাফন করেছে বলে বোট মালিক সুত্রে শুনেছি, যাদের মরদেহ দাফন করা হয়েছে তারা ওই বোটের লোক কিনা সেটা নিশ্চিত নয়। তাই  দুবলার চর সংশ্লিষ্ট থানা থেকে এবিষয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আনার কথা ছিলো, বোট মালিক পক্ষ তা আনতে পারেনি।আর নিখোঁজদের পরিবার থেকে কেউ লাশ শনাক্ত করার সুযোগ পায়নি। প্রকৃতপক্ষে যারা নিখোঁজ হয়েছিল তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল কিনা? নাকি অন্য কোন মানুষের মরদেহ উদ্ধার করে দাফন করেছিল সেটাও নিশ্চিত বলা যাচ্ছেনা।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video