সড়কে আর চলতে পারবে না ২০ বছরের পুরনো কোনো বাস। আর ২৫ বছরের পুরনো কোনো ট্রাক। এ কথা জানিয়েছেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান। তিনি জানান, এখন থেকে কোনোভাবেই মেয়াদোত্তীর্ণ বাসের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে না। সড়কে আর লক্কড়-ঝক্কড় বাস চান না পরিবহন মালিকরাও।
বিআরটিএ-এর হিসেবে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত দেশে নিবন্ধিত যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৪শ’ ৮৫টি। মিনিবাস ২৮ হাজার ৮৮টি। বাস ও মিনিবাসের মোট সংখ্যা ৮১ হাজার ৫শ’ ৭৩টি। ট্রাকের সংখ্যা এক লাখ ৪৯ হাজার ৪শ’ ৪৪টি।
যেসব বাসের যান্ত্রিক বয়সসীমা ২০ বছর পেরিয়ে গেছে ও ট্রাকের বয়স সীমা ২৫ বছর হয়েছে; সেসব আর সড়কে চলতে দেয়া হবে না। বিষয়টি নিয়ে মালিক পক্ষের সাথে বৈঠকের পর বাসগুলো তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তটি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ হলে আর ফিটনেস পাবে না কোন বাস।
সরকারের সিদ্ধান্তে একমত পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা। তারাও চান না পুরনো বাস-ট্রাক আর সড়কে চলুক। কিন্তু করোনা মহামারি ও রুশ ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেল গ্যাসসহ যন্ত্রপাতির দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা ক্ষতির মুখে মালিকরা। তাদের দাবি বয়সসীমার বিষয়টি বিবেচনা করার।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পুনরায় সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করবো।
এদিকে সরকারের নির্দেশনা মতো রাজধানীতে লক্কড়-ঝক্কড় ও রংচটা কোন বাস চলতে দেয়া হবে না। সড়ক এসব বাস পেলেই ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান বিআরটিএর চেয়ারম্যান।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার জানান, ৭৮টি কোম্পানিকে মনিটরিংয়ের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিএ বলছে,যান্ত্রিক বয়সসীমা পার হওয়া বাস ট্রাক ধ্বংসের আবেদন করলে সরকারি সহায়তা দেয়া হবে।
মন্তব্য করুন