হজের কোটা পূরণ না হলেও এটি ফাঁকা থাকবে। কোটা পূরণের জন্য অনলাইনে হজ নিবন্ধনের সুযোগ আর বাড়ানো হবে না। আর হজ প্যাকেজের খরচ কমানোও সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন।
এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও বাকি এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন। চলতি বছরের হজ ফ্লাইট আগামী ২১ মে থেকে শুরু হবে। আর নিববন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার।
জানা গেছে, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং হজযাত্রীদের বিশেষ অনুরোধে একদিনের জন্য অলাইনে নিবন্ধন সিস্টেম খোলা হয় গতকাল মঙ্গলবার একদিনের জন্য। সেখানে ৭৮৬ জন নিবন্ধন করেছেন। এখনও ফাঁকা রয়েছে ৬ হাজার ৭১৯ জনের হজে যাওয়ার নিবন্ধন সংখ্যা।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম হজ নিবন্ধন শুরু হয়। আট দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ না হওয়ায় গত ১১ এপ্রিল উন্মুক্ত নিবন্ধন বন্ধ করা হয়।
এদিকে গত ১৬ এপ্রিল থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন এমন হজযাত্রীদের ভিসার জন্য বায়োমেট্রিক শুরু হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের সব জেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়, ঢাকায় অবস্থিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁও, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম মসজিদ কমপ্লেক্স, ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা এবং হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকায় বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন