‘দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রতি পরিবার থেকে সর্বোচ্চ ২ জন ব্যাংকের পরিচালক হতে পারত। ৪ বছর আগে তা পরিবর্তন করে ৪ জন করা হয়।
পরিবার বলতে এক্ষেত্রে মা-বাবা-ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে সবাইকে মিলে বোঝানো হয়েছে। কোনো ব্যাংকে একক নিয়ন্ত্রণে রেখে মালিকরা যাতে অনিয়মে না জড়িয়ে পড়ে সেজন্য এই আইন। ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম এক ফেসবুক পোস্টে এসব কথা লিখেন। তিনি কোনো ব্যাংক বা ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করে লেখেন, ‘বাংলাদেশে একটি পরিবারের মালিকানায় ৭টি ব্যাংক এবং ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানা এবং অনিয়ম সম্পর্কে গত কয়েকদিন ধরে দেশের সব সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরগরম। কোন আইনে একটি পরিবার এতগুলো ব্যাংকের মালিকানা পেল সে সম্পর্কে কোনো আলোচনা দেখছি না কোথাও। ’
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম লেখেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় এমনকি সুশীল সমাজের যারা প্রতিনিয়ত আর্থিক খাতের দুর্নীতি অনিয়ম সম্পর্কে বক্তব্য বিবৃতি দেন তাদের থেকেও এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না। তাহলে এক পরিবারের সর্বোচ্চ ৪ জন পরিচালক থাকার আইনটি কি কার্যকর নয়?’
আইনের ফাঁক নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি লিখেন, আইনের ফাঁকফোকর বের করে অনিয়মের মাধ্যমে একাধিক ব্যাংকের একক মালিকানা অর্জন করা হয়েছে কিনা। তার ভাষায়, ‘ব্যাংকিং সেক্টরে একক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দুর্নীতি অনিয়ম দূর করার জন্য এই বিষয়টির যথাযথ ব্যাখ্যা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ প্রয়োজন। ’
মন্তব্য করুন