শনিবার, ২০২৪ সেপ্টেম্বর ২১, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
#
প্রযুক্তি প্রযুক্তি

সপ্তাহে গড়ে ২টি প্রতিষ্ঠান কিনছে অ্যাপল

নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২০২১ মার্চ ০২, ১২:২৬ অপরাহ্ন
#
আরেকটি বড় ক্রয় হলো মিউজিক রিকগনিশন সফটওয়্যার শাজাম। এটির মূল্য ২০১৮ সালে ছিলো ৪০ কোটি ডলার। তবে সাধারণত অ্যাপল ছোট প্রযুক্তি কোাম্পানিগুলোকে কিনে নেয়। কারণ কোম্পানিটি নিজস্ব পণ্যে এসব কোম্পানির আবিস্কার ব্যবহার করতে চায়। এভাবেই তুলনামূলক গবেষণা না করেই তারা বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম প্রযুক্তি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ইসরায়েলি থ্রিডি সেনসিং কোম্পানি প্রাইমসেন্স। এই প্রযুক্তি অ্যাপল তাদের ফেসআইডিতে ব্যবহার করে। এছাড়াও অ্যাপল ব্যাক এন্ড টেকনলজিতেও বিনিয়োগ করছে। অ্যাপলের অন্য কোম্পানি অধিগ্রহণের ধরন অনেক বেশি বৈচিত্রময়। গত বছর অ্যাপল বেশ কয়েটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি কিনে নিয়েছে। এর বাইরেও একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবসা, একটি পেমেন্ট স্টার্টআপ এবং একটি পডকাস্ট ব্যবসা ক্রয়তালিকায় আছে। ২০১৯ সালে সেলফ ড্রাইভিং শাটল কোম্পানি ড্রাইভ এআইকে কিনে নেয় অ্যাপল। কোম্পানিটি বর্তমানে স্বচালিত গাড়ির ব্যবসায় প্রবেশেরও চেষ্টা করছে। ২০১৬ সালে চীনা রাইড শেয়ারিং কোম্পানি দিদি চওশিংয়ে ১ বিলিয়ন ডলারের স্টেক কিনে। অ্যাপল ২ ট্রিলিয়ন ডলারের লাভজনক একটি কোম্পানি। ফলে নতুন কোম্পানি অধিগ্রহণের জন্য তাদের যথেষ্ঠর চেয়ে বেশি অর্থ রয়েছে। তবে যে ১০০টি কোম্পানি ৬ বছরে তারা কিনেছে, সে ব্যাপারে তারা বেশ সিলেক্টিভ ছিলো। সম্প্রতি অ্যালন মাস্ক জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে লোকসানে থাকার সময় তিনি কুকের কাছে টেসলা বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন। কুক অনুরোধ করা সেই মিটিংয়েই আসেননি। কেনাকাটার ব্যাপারে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় কম দামের কোম্পানির দিকেই ঝুঁকে থাকে অ্যাপল। লিনকডিনের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে মাইক্রোসফট, হোল ফুডস এর জন্য ১৩.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে অ্যামাজন, হোয়াটসঅ্যাপের জন্য ১৯ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। আর অ্যাপলের কোম্পানি ক্রয়ের সর্বমোট খরচ এদের যে কোনওটির চেয়েই অনেক কম। ৬ বছরে প্রায় ১০০ কোম্পানি কিনে নিয়েছে মার্কিন টেক জায়ান্টটি। অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন। কোম্পানির এজিমে তিনি শেয়ারহোল্ডারদের জানান, সম্প্রতি কোম্পানিটি তার ইতিহাসের সবচেয়ে অর্থপ্রাপ্তির প্রান্তিক পার করেছে। বিবিসি ২০২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির অর্থ এসেছে ১১১.৪ বিলিয়ন ডলার। টিম কুক বলেন, অন্য কোম্পানি কেনার উদ্দেশ্য হলো মেধা ও প্রযুক্তি নিজের করে নেওয়া। গত দশকে অ্যাপলের বৃহত্তম অ্যাকুইজিশন ৩ বিলিয়ন ডলারে বিটস ইলেক্ট্রনিক্সকে কিনে নেওয়া। এই হেডফোন কোম্পানিটির মালিক ছিলেন র‌্যাপার ও মিউজিক প্রোডিউসার ড. ড্রে। ২৪ টিভি/এডি    
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video