সোমবার, ২০২৫ মে ১২, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
#
বিনোদন বিনোদন

ফিরে দেখা ২০২১

দুঃসময়ে পথ দেখাচ্ছে ওটিটি, বাংলায় আলোচিত ৫(ভিডিও)

বিনোদন প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২০২১ ডিসেম্বর ২৮, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
#

 করোনাকালীন দর্শকদের কাছে প্রেক্ষাগৃহের বিকল্প হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ওটিটি প্লাটফর্ম। শুধু কি তাই! বরং সুস্থ বিনোদনে ভরসার নামও হয়ে উঠেছে ওটিটি। যে ধাক্কা বাংলাতেও দৃশ্যমান। এরইমধ্যে ‘চরকি’ সহ একাধিক নতুন প্লাটফর্ম আশা জাগানিয়া অবস্থান তৈরী করে ফেলেছে, বেশকিছু প্লাটফর্ম আছে পাইপলাইনে।

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরও প্রেক্ষাগৃহগুলো যেখানে ‘দর্শক খরা’য় ভুগছে, সেখানে নিত্য নতুন কন্টেন্ট দিয়ে দর্শকের আরো দোরগোড়ায় ওটিটি! ওটিটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এর দর্শক শ্রেণি শুধু দেশেই সীমাবদ্ধ নয়। ভালো এবং যুগপোযোগি কন্টেন্ট হলে দেশের গণ্ডিও ছাড়াতে পারে। তেমনি শক্তিশালী কিছু বাংলা কন্টেন্ট এ বছর দেখতে পেয়েছেন দর্শক। চরকি ছাড়াও ভারতীয় প্লাটফর্ম হইচই, জি-ফাইভ নিয়মিত বাংলাদেশি নির্মাতা, অভিনেতা ও কলাকুশলীদের নিয়ে কন্টেন্ট নির্মাণ করছে। প্রতিনিয়ত সাড়াও ফেলেছে কন্টেন্টগুলো। এরমধ্যে আছে ওয়েব ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ এবং অমনিবাস সিরিজ। শুধু বাংলাদেশি দর্শকদের মাঝে নয়, কলকাতার দর্শকদের মাঝেও সমান জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কন্টেন্টগুলো।
চলতি বছরে আলোচিত তেমনি ৫ বাংলা ওয়েব কন্টেন্ট এর খোঁজ থাকলো এখানে:

লেডিস এন্ড জেন্টলম্যান
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত প্রশংসিত ওয়েব সিরিজ ‘লেডিস এন্ড জেন্টলম্যান’। বাংলাদেশের এই নির্মাতার প্রথম ওয়েবের জন্য প্রথম কাজ এটি। কর্মক্ষেত্রে নারীকে হয়রানি, বৈষম্যসহ বিভিন্ন স্তরের গল্প দেখানো হয়েছে ওয়েব সিরিজটিতে। নুসরাত ইমরোজ তিশার প্রযোজনায় নির্মিত এই ওয়েব সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারিণ। এছাড়াও আরো অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, হাসান মাসুদ, সাবেরী আলেম, পার্থ বড়ুয়া, ইরেশ যাকের, মোস্তফা মনোয়ার, শরাফ আহমেদ জীবন, মারিয়া নূর প্রমুখ। ৮ পর্বের এই ওয়ব সিরিজটি চলতি বছরের জুলাইয়ে জি-ফাইভে স্ট্রিমিং হয়। ক্রাইম থ্রিলার ঘরানার ভিড়ে এমন দারুণ গল্পে ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করায় প্রশংসিতও হয়েছেন এই নির্মাতা।

মহানগর
শুধু ঢাকা কলকাতা নয়, বাংলা ভাষাভাষি মানুষের কাছে চলতি বছরে যে ওয়েব কন্টেন্টটি সাড়া ফেলেছে সেটি হলো আশফাক নিপুণের ‘মহানগর’। ভারতীয় স্ট্রিমিং অ্যাপ হইচইয়ে মুক্তি পাওয়া এই সিরিজটি তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। ‘মহানগর’ এর গল্প, পারফরম্যান্স, কাস্ট, ক্রু সবকিছু নিয়ে পরবর্তীতে ইতিবাচক মন্তব্য লক্ষ্য করা গেছে সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে সিনেআলোচকদের মধ্যেও। ৮ পর্বের এই ওয়েব সিরিজে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন মোশাররফ করিম, জাকিয়া বারী মম, খায়রুল বাসার, মোস্তাফিজ নূর ইমরান প্রমুখ।

নেটওয়ার্কের বাইরে
চলতি বছরে দেশীয় প্লাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করেই চমকে দিয়েছে ‘চরকি’। প্রথম বছরেই বেশকিছু কন্টেন্ট দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছে প্লাটফর্মটি। বিশেষ করে তারুণ্যকে ধরতে এই প্লাটফর্মের অন্যতম সাড়া জাগানো ওয়েব কন্টেন্ট ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ বিরাট প্রভাব ফেলেছে। ছোটপর্দার তারকা নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত এই ওয়েব ফিল্মটির গল্প, নির্মাণ এবং অভিনয়শিল্পীদের দুর্দান্ত অভিনয় ছুঁয়ে যায়নি এমন সিনেদর্শক খুঁজে পাওয়া মুশকিল! বন্ধুত্বের অন্যরকম গল্পে নির্মিত এই ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেছেন শরীফুল রাজ, ইয়াশ রোহান, খায়রুল বাসার, জুনায়েদ, অর্ষা, ফারিণ সহ অনেকে।

ঊনলৌকিক
দেশীয় প্লাটফর্ম চরকির সবচেয়ে প্রশংসিত উদ্যোগ ‘ঊনলৌকিক’ অমনিবাস সিরিজটি। রবিউল আলম রবি পরিচালিত শিবব্রত বর্মণের গল্প অবলম্বনে এর চিত্রনাট্য লিখেছেন শিবব্রত বর্মণ, রবিউল আলম রবি, সৈয়দ আহমেদ শাওকী, নেয়ামত উল্লাহ মাসুম, ও নাসিফ আমিন। মরিবার হলো তার স্বাদ, দ্বিখণ্ডিত, মিসেস প্রহেলিকা, হ্যালো লেডিজ এবং ডোন্ট রাইট মি- অভিনয় করেছেন মোস্তফা মনোয়ার, গাজী রাকায়েত, নাজিবা বাশার, সুমন আনোয়ার, আসাদুজ্জামান নূর, সোহেল মণ্ডল, ফারহানা হামিদ, নুসরাত ইমরোজ তিশা, চঞ্চল চৌধুরী, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, ইরেশ যাকের, শাহানা রহমান সুমী এবং ইন্তেখাব দিনার প্রমুখ।

ভিন্ন স্বাদের পাঁচটি গল্পে নির্মিত অমনিবাস সিরিজ ‘ঊনলৌকিক’ এর প্রতিটি গল্প নিয়ে পরবর্তীতে দর্শক কথা বলেছেন মন খুলে। অসংখ্য ইতিবাচক পর্যালোচনাও দেখা গেছে সিরিজটি নিয়ে।

 জাগো বাহে
‘ঊনলৌকিক’ এর মতো বছর শেষে আবারও দারুণ অমনিবাস সিরিজ উপহার দিয়েছে চরকি। স্বাধীনতা ও বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য নিয়ে এই সিরিজ মুক্তি পায় চলতি ডিসেম্বরেই। লাইট ক্যামেরা অবজেকশন,  শব্দের খোয়াব এবং  বাংকার বয় নামে তিনটি পর্ব  পরিচালনা করেছেন যথাক্রমে সালেহ সোবহান অনীম, সিদ্দিক আহমেদ এবং সুকর্ণ শাহেদ ধীমান। এরমধ্যে ‘লাইট ক্যামেরা অবজেকশন’ স্বল্পদৈর্ঘ্যটির প্রশংসা করেন সব শ্রেণির দর্শক। কারণ এই গল্পটি বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী চিত্রপরিচালক জহির রায়হানকে কেন্দ্র করে। ১৯৭০ সালে জহির রায়হান নির্মাণ করেছিলেন ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’। তৎকালীন সেন্সর বোর্ড চলচ্চিত্রটি আটকে দিয়েছিল। সেই সময় বোর্ডের সঙ্গে যুক্তিতর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন জহির রায়হান। অজানা এমন ঘটনাকেই উপজীব্য করে ‘লাইট, ক্যামেরা…অবজেকশন’। এতে জহির রায়হানের চরিত্রে অভিনয় করছেন মোস্তফা মনোয়ার।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video