সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উল্লাস করছে। আটক কিংবা কোন প্রকার বাধা বিপত্তি না পেয়ে প্রকাশ্য এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা। নিরহ আহত স্বামী ও স্ত্রী এখনো মূত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। ঘটনাটি আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের গুজরা গ্রামের।এলাকার নেপাল হত্যার আসামী গংরা দূর্ধর্ষ কায়দায় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে নিরহ মিতা দাশ (৫০) ও দয়াল দাশ (৬১) কে প্রাণে মারার চেষ্টা করে গুরুতর আহত করে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, আহত মিতা দাশ গুজরা গ্রামের বৃন্দাবন বিহারী বাড়ীর দয়াল দাশের স্ত্রী ও দয়াল দাশ একই বাড়ীর মৃত মনমোহন দাশের ছেলে। দয়াল দাশ ও মিতা দাশ সম্পর্কে পরস্পর স্বামী ও স্ত্রী।
গত ২৩ জুলাই প্রকাশ্য দিবালোকে বিকাল আনুমানিক ৩টার সময় বাড়ী ঘাটার রাস্তা ও বশতঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে কুরবানীর গরু বিক্রির ১ লাখ ২০ হাজার ছিনিয়ে নেয়।
এ হামলায় অংশ নেয় মৃত চিত্তরঞ্জন দাশের ছেলে মানু দাশ ( ৪০ ) ও তার ভাই রনজিত দাশ ( ৩৫ ) , ইশ্বর চন্দ্র দাশের ছেলে মিন্টু দাশ (৩৫), সুমন দাশ চুমকো ( ৩১ ) ও তাদের ভাই উত্তম দাশ এবং সুমন দাশের স্ত্রী শর্মী দাশ। এই ৬ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আহত ২ জনকে আঘাতে রক্তাত্ত ও জখম করে।
জানা গেছে, মানু দাশ ও রনজিত দাশ স্থানীয় মৃত সতীন্দ্র দাশের ছেলে নেপাল দাশ হত্যার আসামী। ওই খুনে তারা অংশ নেয়। তাদের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানার মামলা নং ৪(৭)১৪ ধারা ৩০২/ ৩৪ রুজু রয়েছে।
মিতা দাশ ও দয়াল দাশের মাথা, চোখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাত্ব ও জখম হয়। সন্ত্রাসীরা দা, বটি, লোহার রড ও লাটি দিয়ে আঘাত করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে। মিতা দাশের বিভিন্ন স্থানে ৮টি সেলাই ও দয়াল দাশ কে ৩টি সেলাই করে চিকিৎসগণ। ঘটনার পরপরই আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রেফারকৃত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও যথাস্থানে আহতরা চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে আমাদের অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে আহতদের অবস্থা খুবই গুরুতর বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন